ঢাকা, রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
প্রথমবারের মতো চাঁদে পা রাখতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি
.jpg)
‘স্পেস নেশন’-এর মুন পায়োনিয়ার মিশনে প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করে চাঁদে পা রাখার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বাংলাদেশের রুথবা ইয়াসমিন। ২০২৫ সালের ১৬ এপ্রিল স্পেস নেশন জানায়, তাদের ঘোষিত মিশনে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগই নারী এবং রুথবা তাদের অন্যতম। সফল হলে তিনিই হবেন প্রথম বাংলাদেশি নারী যিনি চাঁদে পদার্পণ করবেন।
রুথবার গবেষণার মূল বিষয় মহাকাশ আবহাওয়া। ঢাকার স্কলাস্টিকা স্কুল থেকে শিক্ষাজীবন শুরু করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের মাউন্ট হোলিওক কলেজে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক এবং গণিতে মাইনর সম্পন্ন করেন ২০১৪ সালে। পরে কোভিড মহামারির সময় বাংলাদেশে ফিরে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ডেটা সায়েন্সে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ২০২৪ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আলাবামা থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
এই চন্দ্রাভিযানে অংশ নেওয়া সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন রুথবা, যেখানে নারীই সংখ্যাগরিষ্ঠ। পুরো দলে মাত্র একজন পুরুষ সদস্য, বাকিরা সবাই নারী। এই দলের গর্বিত একজন সদস্য বাংলাদেশের প্রতিনিধি রুথবা ইয়াসমিন।
রুথবা ইয়াসমিনের মহাকাশ অভিযাত্রার স্বপ্নের বীজ বোনা হয় শৈশবে। যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সময় তার গবেষণার থিসিস ছিল মহাকাশের আবহাওয়া, বিশেষ করে জিওম্যাগনেটিক ঝড়—যা পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারকে প্রভাবিত করে। এই থিসিসই পরবর্তীতে তার মহাকাশ অভিযানের পথ খুলে দেয়। রুথবা বলেন, “আমার সব সময়ই গভীর এক ইচ্ছা ছিল ফিজিক্স ডিগ্রিকে বাস্তবে কাজে লাগানোর। সেখান থেকেই মহাকাশে পা রাখার স্বপ্ন গড়ে ওঠে।”
স্পেস নেশনের মুন পায়োনিয়ার মিশনের প্রশিক্ষণে রুথবা দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপে অংশ নেন। প্রথম রাউন্ডে তিনি দায়িত্ব পালন করেন Moon Base EVA Specialist হিসেবে—যেখানে মক স্পেসস্যুট পরে চাঁদের পৃষ্ঠে অভিযানে অংশ নেন। পরবর্তী রাউন্ডে তিনি কাজ করেন Mission Control Engineer পদে। যেখানে চাঁদের বেস ক্যাম্পে থাকা দলের প্রতিটি সদস্যকে দূর থেকে দিকনির্দেশনা দিয়ে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
প্রতিটি ধাপেই রুথবা দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। এখন তার অপেক্ষা চূড়ান্ত গন্তব্য—চাঁদের পথে যাত্রার।
মহাকাশ ছোয়ার স্বপ্ন দেখা হাজারও বাঙালি তরুণের পথপ্রদর্শক হতে পারেন রুথবা, "যারা মহাকাশ নিয়ে স্বপ্ন দেখে, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতে ভালো ভিত্তি তৈরি করুক। তবে কেবল শিক্ষাগত ডিগ্রিই যথেষ্ট নয়। দরকার কৌতূহল, সাহস, সমস্যা সমাধানে দক্ষতা এবং নিজের স্বকীয়তা। মহাকাশ এখন শুধুই পশ্চিমাদের মাঠ নয়; বরং বাংলাদেশ থেকেও সেখানে পৌঁছানো সম্ভব।"
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- এক বহুজাতিকের ধাক্কায়ই কেঁপে উঠল শেয়ারবাজার
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ইপিএস প্রকাশ করার তারিখ জানাল ১৫ প্রতিষ্ঠান
- ডিএনসিসির শিক্ষাবৃত্তি পাবে ২ হাজার শিক্ষার্থী
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- শেয়ারবাজারে বড়দের দাপট, ছোটদের পিছুটান
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৪ প্রতিষ্ঠান
- ২৭ জুলাই : শেয়ারবাজারের সেরা ১১ খবর
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১২ কোম্পানি
- বিকালে আসছে ১০ কোম্পানির ইপিএস