ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২
শেয়ারবাজার বাঁচাতে অর্থ উপদেষ্টা ও বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি

বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারণের দাবি জানিয়েছে।
আজ বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে তারা অভিযোগ করেন, অর্থ উপদেষ্টা ও বিএসইসির চেয়ারম্যান শেয়ারবাজার ধ্বংসের জন্য 'আজরাইল' হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম ইকবাল হোসাইন বলেন, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ শেয়ারবাজার ধ্বংস করতে আজরাইল হিসেবে এসেছেন। শেয়ারবাজারের স্বার্থে এদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে, যা হবে বিনিয়োগকারীদের জন্য ঈদ উপহার।
ইকবাল হোসাইন আরও অভিযোগ করেন, রাশেদ মাকসুদ বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনকে আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল, যাতে আমরা এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কথা বলতে না পারি। কিন্তু তিনি এবং অর্থ উপদেষ্টাই স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন।
শেয়ারবাজারের স্বার্থে দ্রুত অর্থ উপদেষ্টা ও বিএসইসি চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে বলে দাবি জানান ইকবাল হোসাইন। তিনি বলেন, এটা না করা হলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরবে না এবং শেয়ারবাজার ধ্বংস হয়ে যাবে।
বিনিয়োগকারীদের এই নেতা যোগ করেন, আর যদি ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার তাদের অপসারণ না করতে পারে, তাহলে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। এতে করেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে। কারণ, নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন হবে এবং সালেহউদ্দিন ও মাকসুদকে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজার এমন এক তলানিতে চলে গেছে, যা বিশ্ব দরবারে কলঙ্কে পরিণত হয়েছে। এই কলঙ্ক কাটাতে শেয়ারবাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। "টাকার কোনো সংকট এই বাজারে নেই। আস্থা ফিরলে টাকা উড়ে আসবে," মন্তব্য করেন তিনি।
প্রস্তাবিত বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য 'অশ্বডিম্ব' রাখা হয়েছে মন্তব্য করে ইকবাল হোসাইন বলেন, এ কারণে বাজেট ঘোষণার পরে শেয়ারবাজারে পতন হয়েছে। অথচ বিএসইসি, ডিএসই ও সিএসই বাজেটকে 'শেয়ারবাজারবান্ধব' বলে দালালি করছে। তিনি অভিযোগ করেন, তারা হয়তো কোনো সুবিধার আশায় এই দালালি করছেন।
সংগঠনটি চূড়ান্ত বাজেটে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স বাতিলের দাবি জানিয়েছে। এছাড়াও, শেয়ারবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ এবং ৫০ শতাংশের বেশি ক্যাপিটাল লস করা বিনিয়োগকারীদের আইসিবি'র (ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা করারও দাবি জানানো হয়।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- শেয়ার কারসাজিতে শ্যালক–দুলাভাইর দেড় কোটি টাকা জরিমানা
- চার কোম্পানির আর্থিক অনিয়মের দায়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে ৬ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত