ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
দেশে রাশায়নিক ও কীটনাশকমুক্ত ধান উদ্ভাবন
ডুয়া ডেস্ক: দেশে রাসায়নিক ও কীটনাশকমুক্ত ধান উদ্ভাবন করেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)।
এ বিষয়ে হাবিপ্রবির জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. খায়দেমুল ইসলাম বলেন, “বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আজিজুল হকের নেতৃত্বে একটি গবেষণা দল রাসায়নিক ও কীটনাশকমুক্ত ধান উদ্ভাবনে সফল হয়েছে।”
অধ্যাপক ড. আজিজুল হক জানান, “ব্রি-২৮, ব্রি-২৯, ব্রি-৯২, ব্রি-৩৪ এবং জিরাশাইলসহ মোট ৬টি জাতের ওপর গবেষণা করে এই সাফল্য এসেছে।”
গবেষকরা উদ্ভিজ্জ বীজাণু (এন্ডোফাইটিক ব্যাকটেরিয়া) ব্যবহার করে ধানের ফলন দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে কাজ করছেন, যাতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো যায়। এর আগে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে তারা বেগুন ও টমেটো চাষে সফলতা অর্জন করেছেন।
গবেষকরা জানান, ‘এই এন্ডোফাইটিক ব্যাকটেরিয়া ধানের শিকড়, কাণ্ড, ডাল ও পাতার বৃদ্ধি বাড়িয়ে অতিরিক্ত নাইট্রোজেন পরিবেশ থেকে সংগ্রহ করে। এর ফলে ইউরিয়া সারের ব্যবহার ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব।’
ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে প্রচলিতভাবে ব্রি-২৮ ও ব্রি-৩৪ জাতের ধানে ৪ থেকে ৬ বার কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। এটি একদিকে পুষ্টিগুণ ও উৎপাদন কমিয়ে দেয়, অন্যদিকে চাষের খরচ বাড়ায়। তবে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রথম মাসে মাত্র একবার বিষ প্রয়োগ করেই ফলন বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি ধানের খড়ও হয়েছে আরও শক্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত।
ড. আজিজুল জানান, “তাদের লক্ষ্য ছিল ফলন বৃদ্ধি, রাসায়নিক নির্ভরতা কমানো ও ধানের গুণগত মান উন্নয়ন। এই প্রযুক্তিতে ধান দ্রুত পাকছে, যা হাওর অঞ্চলের জন্য খুবই উপযুক্ত। ব্যাকটেরিয়া উৎপাদনের সহজ প্রযুক্তিও উদ্ভাবন হয়েছে, যাতে কৃষকরা নিজেরাই কম খরচে তা তৈরি ও ব্যবহার করতে পারবেন।”
ড. আজিজুল হকের তত্ত্বাবধানে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর, শাহরিয়ার, মেহেদী ও রোকন এ গবেষণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। গবেষণাটি অর্থায়ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (আইআরটি)।
সম্প্রতি গবেষণা ক্ষেত্রটি সরেজমিন পরিদর্শন করেন আইআরটির পরিচালক অধ্যাপক ড. এস. এম. হারুন-উর-রশিদ, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার, সহযোগী গবেষক ড. ইয়াসিন প্রধান এবং অধ্যাপক ড. শাহ মঈনুর রহমান।
পরিচালক অধ্যাপক ড. এস. এম. হারুন-উর-রশিদ বলেন, “আমরা মাঠে সরাসরি এসে খুবই সন্তুষ্ট হয়েছি। আশপাশের জমির তুলনায় যেখানে কৃষকরা ব্যাকটেরিয়া প্রয়োগ করেছেন, সেই জমির ফলন অনেক বেশি। আমরা কৃষকদের কাছ থেকেও ভালো সাড়া পেয়েছি। আগামী বছর আরও অনেক কৃষক এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধান চাষে আগ্রহী হবেন।”
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড ২য় T-20: খেলাটি সরাসরি(LIVE) দেখুন এখানে
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড: টি-২০ ম্যাচটি শেষ-দেখুন ফলাফল
- শীতকালীন ছুটি বহাল থাকছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড ২য় টি-টোয়েন্টি: কবে, কোথায়, কখন-দেখুন সময়সূচি
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড টি-২০ ম্যাচ: কবে, কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন
- কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড ২য় T-20-সরাসরি দেখার উপায়
- শুক্রবার গ্যাসের চাপ কম থাকবে যেসব এলাকায়
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ডের ফাইনাল টি-২০ ম্যাচ: সরাসরি দেখুন এখানে(LIVE)
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড: ব্যাটিংয়ে আয়ারল্যান্ড, দেখুন স্কোর-LIVE
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ডের ৩য় ম্যাচ: কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন সরাসরি
- বাংলাদেশ বনাম মালয়েশিয়া: দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু-দেখুন ফলাফল-LIVE
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড: ব্যাটিংয়ে টাইগাররা-সামনে চ্যালেঞ্জিং স্কোর-LIVE
- বাংলাদেশ বনাম মালয়েশিয়া: ফুটবল ম্যাচটি সরাসরি দেখুন(LIVE)
- আজ বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড T20 ম্যাচ: যেভাবে দেখবেন সরাসরি(LIVE)
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড: ১ম টি-২০ ম্যাচটি সরাসরি দেখুন এখানে(LIVE)