ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২
ভারতের পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান পাকিস্তানের
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক: ভারতের পারমাণবিক স্থাপনা ও অস্ত্রভাণ্ডারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতে পারমাণবিক পদার্থ চুরি ও পাচারের একাধিক ঘটনার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA)-কে বিষয়টি তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দেওয়া এক বিবৃতিতে পাকিস্তান দাবি করে ভারতে একের পর এক তেজস্ক্রিয় পদার্থ চুরি ও পাচারের ঘটনা ঘটছে, যা শুধু আঞ্চলিক নয় বরং বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি। এসব ঘটনায় ভারতের পারমাণবিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠে এসেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, ভারতের পক্ষ থেকে পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা এবং এই ধরনের ঘটনার নিরপেক্ষ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা প্রয়োজন। পাশাপাশি পাকিস্তান চায় IAEA এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখুক।
এই বিবৃতির পেছনে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। তিনি কাশ্মিরের শ্রীনগরে সেনাদের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেন, পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি IAEA-এর তত্ত্বাবধানে নেওয়া উচিত। এর কড়া জবাব দিয়ে পাকিস্তান জানিয়েছে, নিজেদের কর্মসূচি নয় বরং ভারতের অনিয়ন্ত্রিত পারমাণবিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বেশি উদ্বেগ থাকা উচিত।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক পেহেলগাম হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছে যায়। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক গোষ্ঠীগুলোকেই দায়ী করে। সীমান্তে সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ায় যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি হয়, যা আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের জন্ম দেয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশ শান্তিচুক্তিতে পৌঁছায়।
পাকিস্তান আরও দাবি করে, ২০২৩ সালে ভারতের দেরাদুনে পাঁচজনকে একটি তেজস্ক্রিয় যন্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়, যা ভাভা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র থেকে চুরি হয়েছিল বলে অভিযোগ। এছাড়া ‘ক্যালিফোর্নিয়াম’ নামে এক প্রকার উচ্চতেজস্ক্রিয় পদার্থ বারবার পাচারের ঘটনা ঘটেছে, যার আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলার। এসব ঘটনা ভারতের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে এবং কালোবাজারি চক্রের সক্রিয়তার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, IAEA জাতিসংঘের একটি সংস্থা, যা সদস্য দেশগুলোর পারমাণবিক প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ব্যবহারের ওপর নজরদারি করে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- চলতি সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস ওঠার সম্ভাবনা
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- ডুয়া নিউজের বিশেষ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা!
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শিক্ষার্থীদের আলোকিত ভবিষ্যত গড়তে পাশে থাকবে ঢাবি অ্যালামনাই
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- ১৬ জুলাই সরকারি ছুটি কি-না? যা জানা যাচ্ছে
- ঢাবির জিয়া হলে ‘ক্যারিয়ার টক’ অনুষ্ঠিত
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা
- ডিভিডেন্ড পেয়েছে চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা