ঢাকা, রবিবার, ১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

ডুয়া ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্ট ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন।
এর আগে, ২০২৪ সালের ১৬ মার্চ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলার ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের শুনানি শেষে এই রায় ঘোষণা করেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্মম নির্যাতনে প্রাণ হারান ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। ভারতবিরোধী একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে তাকে ডেকে নিয়ে সারা রাত ধরে মারধর করা হয়। পরদিন ভোরে শেরে বাংলা হলের সিঁড়িতে তার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। বুয়েট মেডিকেলের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ পরে জানায়, আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার পরদিন ৭ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। মাত্র ৩৭ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষে ১৩ নভেম্বর মামলার চার্জশিট দাখিল করেন ডিবির পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান। এরপর ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ২০ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ জন হলেন:
মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার অপু, মেহেদী হাসান রবিন শান্ত, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, খন্দকার তাবাকারুল ইসলাম তানভির, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মুনতাসির আল জেমী, মো. মিজানুর রহমান মিজান, এস এম মাহমুদ সেতু, সামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মোর্শেদ (অমর্ত্য ইসলাম), এহতেশামুল রাব্বি তানিম (পলাতক), মো. মোর্শেদ উজ্জামান মণ্ডল জিসান (পলাতক), এবং মুজতবা রাফিদ (পলাতক)।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন:
অমিত সাহা, ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না, মো. আকাশ হোসেন, মুহতাসিম ফুয়াদ, ও মো. মোয়াজ আবু হোরায়রা।
২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয় ডেথ রেফারেন্স হিসেবে। এরপর আসামিরা জেল আপিল এবং ফৌজদারি আপিল করেন। ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর থেকে হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়, যা পরবর্তীতে রায়ে গড়ায়।
আবরার হত্যাকাণ্ড সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে জোরালো আন্দোলন গড়ে ওঠে। এই ঘটনার জেরে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাতিল হচ্ছে ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স, তালিকায় শেয়ারবাজারের ১৪টি
- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১.৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
- শেয়ারবাজারের ৬৬ কোম্পানির প্রতি বিএসইসি’র কঠোর বার্তা
- গভীর রাতে ঢাবি শিবির সভাপতির ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়
- বনানীতে ঢাবির সাবেক ছাত্রীর ম’রদেহ উদ্ধার
- শেয়ারবাজারের ১৮ ব্যাংককে ডিভিডেন্ড না দেওয়ার নির্দেশ
- ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব
- ঢাবির পীরগাছা উপজেলা সংগঠনের নেতৃত্বে রবিউল ও সৈকত
- ড. ইউনূসকে ‘আক্রমণ’!
- শেয়ারবাজার ধসের দায় চাপছে বিএসইসি নেতৃত্বের ওপর
- জেড ক্যাটাগরি ও ন্যুনতম শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানিতে বসছে স্বতন্ত্র পরিচালক
- ঈদের ছুটি নিয়ে নতুন প্রস্তাবনা
- ফাঁস হলো হাসনাত-সার্জিসকে হ-ত্যার ভ'য়ঙ্কর পরিকল্পনা
- মন্দার বাজারে আলো ছড়িয়েছে ২০ শেয়ার
- ‘বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ডাকাতদের আড্ডা হয়ে গেছে’