ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২
উত্তেজনার মধ্যেই ৯০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে যু’দ্ধবিমান কিনছে ভারত

ডুয়া ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যেই ফ্রান্স থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করেছে ভারত।
আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) সরকার পর্যায়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এমন এক সময় ভারত এই চুক্তি করেছে, যখন প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক সবচেয়ে তিক্ত অবস্থায় রয়েছে। এই রাফাল যুদ্ধবিমান শুধুমাত্র ফ্রান্সের কাছ থেকেই কেনা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, ‘এর আগে চলতি মাসের প্রথমদিকে ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় দেশটির সরকার। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি। এবার সই করা হলো দুই দেশের পক্ষ থেকে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, ‘চুক্তির আওতায় রাফাল এম ফাইটার জেটের মেরিন ভ্যারিয়েন্ট পাবে ভারত। আর এই রাফাল যুদ্ধবিমানগুলো দেশীয়ভাবে তৈরি ভারতের প্রথম এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার আইএনএস বিক্রান্তে ব্যবহার করা হবে। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি যুদ্ধবিমানের ক্ষেত্রে ভারতের বৃহত্তম চুক্তি। যে ২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান আসবে, তার মধ্যে ২২টিই হবে এক আসনের। আর দুই আসনে চারটি যুদ্ধবিমান।’
পাঁচ বছর পর ভারতের হাতে একের পর এক রাফাল যুদ্ধবিমান আসতে শুরু করবে। নৌসেনার মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে এই রাফাল যুদ্ধবিমান। এর ফলে সমুদ্রে ভারতের সামরিক শক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ‘ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য এটিই সবচেয়ে বড় চুক্তি। এর আগে সরকার পর্যায়ে এত বড় চুক্তি হয়নি। ফ্রান্সের সঙ্গে এই চুক্তি করেছে ভারত সরকার। এর মাধ্যমে এই প্রথম যুদ্ধবিমানও পেতে যাচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী।’
জানা গেছে, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে প্রথম এই চুক্তি করার চিন্তাভাবনা করে সরকার। ওই সময় ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে আলোচনা শুরু করে। এবার ভারত সরকারের পক্ষ থেকে চুক্তিটি অনুমোদিত হয়েছে। এ চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে বহরের রক্ষণাবেক্ষণ, লজিস্টিক সহায়তা, কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং দেশীয়ভাবে যন্ত্রাংশ তৈরির জন্য একটি বিস্তৃত প্যাকেজ। তবে, ২০৩১ সালের আগে এই নৌবহরটি সম্পূর্ণরূপে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
রাফাল এমকে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত নৌযুদ্ধবিমানগুলোর একটি। এটি সাফরান গ্রুপের শক্তিশালী ল্যান্ডিং গিয়ার দিয়ে তৈরি, যা ক্যারিয়ারবাহী বিমানের জন্য সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়। এতে ভাঁজ করা ডানা এবং শক্তিশালী আন্ডারক্যারেজও রয়েছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ৪০ বছরের ইতিহাসে ডিভিডেন্ডে নজির ভাঙল এপেক্স ট্যানারি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণায় রেকর্ড ভাঙ্গল লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স!
- ঘোষণা দিয়েও শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয়নি ১৭ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- একদিনে 'এ' ক্যাটাগরিতে ফিরল দুই কোম্পানি
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- শেয়ারবাজারে সচেতনতা বাড়াতে এবার যুক্ত হচ্ছে মাঠ প্রশাসন
- লাফার্জ হোলসিমের উচ্চ মুনাফার 'অ্যাগ্রিগেটস' ব্যবসা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে বিএসআরএম লিমিটেড
- মার্জিন ঋণ আতঙ্কে হঠাৎ ধস নামলো শেয়ারবাজারে!
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব, বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান বিএসইসির
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি