ঢাকা, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২
গোয়েন্দাদের যেভাবে ‘বোকা’ বানানো হয় কাশ্মীর হামলায়

ডুয়া ডেস্ক: কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ হামলার তদন্ত করছে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শতাধিক সন্দেহভাজনকে আটক করা হলেও হামলাকারীদের এখনো খুঁজে বের করতে পারেনি তারা।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানায়, গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে জানা গেছে হামলাকারীরা নিজেদের যোগাযোগের জন্য কিছু নিষিদ্ধ ও দুর্ভেদ্য ‘চীনা মোবাইল অ্যাপ’ এবং ‘স্যাটেলাইট ফোন’ ব্যবহার করেছিল।
তদন্তে উঠে এসেছে, পেহেলগামের হামলার পরিকল্পনা ওই অ্যাপগুলোর মাধ্যমেই হয়েছিল। ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর যেসব অ্যাপ ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়, সন্ত্রাসীরা ঠিক সেগুলোই ব্যবহার করেছে। এসব অ্যাপে তথ্য লুকানোর প্রযুক্তি এতটাই উন্নত যে, বাইরের কেউ সহজে নজরদারি করতে পারে না।
হামলার দিন একটি চীনা স্যাটেলাইট ফোনের সংকেত গোয়েন্দারা শনাক্ত করলেও তা ধরতে ব্যর্থ হন। এটাই মূলত গোয়েন্দা বিভ্রান্তির বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এই ঘটনার পর ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নেয়। আটারি সীমান্ত বন্ধ করে পাকিস্তানি নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হয়, সব ধরনের ভিসা বাতিল করা হয়, এমনকি সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন চুক্তিও স্থগিত করা হয়।
এর জবাবে পাকিস্তানও কড়া প্রতিক্রিয়া জানায়। ইসলামাবাদ ঘোষণা করে, তারা সিমলা চুক্তি স্থগিত করেছে, ভারতের জন্য আকাশসীমা নিষিদ্ধ করেছে এবং সব রকম বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধ করে দিয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেন, ভারতের পদক্ষেপকে তারা ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ হিসেবে দেখছে এবং প্রয়োজনে যেকোনো মূল্যে নিজেদের অধিকার রক্ষা করবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফও হুঁশিয়ারি দেন, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পাকিস্তানকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাল্টা কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, পেহেলগামের ভয়াবহ হামলার পর গোটা দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দিল্লি এখনো এমন কোনো জোরালো প্রমাণ দেখাতে পারেনি যা সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে। তাই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভারতের পদক্ষেপ ন্যায্যতা পেতে বাধার মুখে পড়তে পারে।
ইতিমধ্যে ইরান ও বাংলাদেশ মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে। জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয় পক্ষকে সংযম ও সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপকে জোরালোভাবে সমর্থন জানাচ্ছেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত সাম্প্রতিক ম্যাচের পরিসংখ্যান
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার