ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
বিনিয়োগ সম্মেলন : ৪ সমস্যার কথা জানালেন বিদেশিরা

ডুয়া ডেস্ক: বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগে প্রধান বাধাগুলি হলো সরকারি সেবার মান, ইউটিলিটি সেবার অভাব, দুর্নীতি, এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের অপ্রতুল বোঝাপড়া। বিনিয়োগকারীরা যখন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সহযোগিতার আশ্বাসে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন তখন প্রায়শই তারা নীচু স্তরের সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুত সহযোগিতা পান না।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করার পর সরকারের নীতির ওপর তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা জানতে চেয়েছেন সরকার এসব বাধা কীভাবে সমাধান করবে এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য কী ধরনের সুবিধা প্রদান করবে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানান, সফররত বিনিয়োগকারীরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে ফিরেছেন এবং বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়েছেন। তিনি বলেন, অনেক বিনিয়োগকারী বিশেষত কোরিয়া এবং চীন থেকে আগত, তাদের পূর্বের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার অভাবের কথা জানিয়েছেন। তবে বিডা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা চিহ্নিত করেছে এবং সেগুলোর সমাধানে কাজ করছে।
এছাড়া রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং জ্বালানি নিশ্চয়তার মতো বিষয়গুলোও বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের কারণ, যা সরকারের কাছে তাদের জানানো হয়েছে। সরকার এসব বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
বিনিয়োগ সম্মেলনের লক্ষ্য ছিল এক বা দুই বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া নয় বরং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশের প্রতি নেতিবাচক ধারণাগুলি ভাঙা। বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক নতুন বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করা।
বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান চেয়েছেন। যেমন: সরকারের নীতি অব্যাহত রাখা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করা, এবং শুল্ক-কর ও ইউটিলিটি সেবা নিশ্চিত করা। তারা জানিয়েছেন, যদি নীতিতে পরিবর্তন আসে তবে তা বিনিয়োগে বাধার সৃষ্টি করতে পারে।
এছাড়া বিনিয়োগ সম্মেলনে কিছু কোম্পানি যেমন সুইডিশ কোম্পানি নিলর্ন বাংলাদেশের জন্য বিনিয়োগের সুযোগ দেখছে। তবে তারা সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আশা করছে।
এসময় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে চীনা এবং কোরিয়ান বিনিয়োগকারীরা সাক্ষাৎ করেন এবং কোরিয়ার একটি বিনিয়োগকারী দল চট্টগ্রামের ইপিজেডে দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের পদক্ষেপকে প্রশংসা করেছেন।
এ বছরের বিনিয়োগ সম্মেলনটি ছিল বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন সুযোগ তৈরি এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়া।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্র ও বহুজাতিক ১৫ কোম্পানি
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- ডিএনসিসির শিক্ষাবৃত্তি পাবে ২ হাজার শিক্ষার্থী
- স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধনে নতুন মাইলফলক
- শেয়ারবাজারে বড়দের দাপট, ছোটদের পিছুটান
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৭ প্রতিষ্ঠান
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৪ প্রতিষ্ঠান
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- বিকালে আসছে ১০ কোম্পানির ইপিএস
- বিকালে আসছে ২১ কোম্পানির ইপিএস
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- নতুন সিনেট সদস্য হলেন ঢাবির ৫ অধ্যাপক
- শিবলী রুবাইয়াত ও শেখ শামসুদ্দিন শেয়ারবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
- গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহ উদ্ধার