ঢাকা, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী বিক্ষোভের আয়োজন
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক: এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সহযোগী ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নামছেন হাজার হাজার মানুষ।
স্থানীয় সময় শনিবার (০৫ এপ্রিল) দেশজুড়ে ১ হাজার ২০০টি বিক্ষোভ হবে। যেখানে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একদিনে সর্বোচ্চ মানুষকে বিক্ষোভ করতে দেখা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর ইলন মাস্কের পরামর্শে কয়েক হাজার সরকারি চাকরিজীবীকে চাকরিচ্যুত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই গণ ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধেই হবে বিক্ষোভ। এছাড়া নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও অভ্যন্তরীণ যেসব নীতি গ্রহণ করেছেন সেগুলোর বিরুদ্ধেও আন্দোলন হবে।
জানা গেছে, বিক্ষোভকারীরা ‘হাত সরাও’ স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নামবেন। এতে ফিলিস্তিনিপন্থি এবং ইসরায়েলের গাজায় নতুন বর্বর হামলার বিরোধী গ্রুপগুলোও যোগ দেবে। তারা গাজা নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানাবেন।
বিক্ষোভের পরিকল্পনাকারী দলগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে 'ইন্ডিভিজিবল'। এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইজরা লেভিন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “এটি একটি বিশাল বিক্ষোভ যা ইলন মাস্ক, ট্রাম্প এবং কংগ্রেসে থাক রিপাবলিকান এবং ট্রাম্পের সমর্থকদের প্রতি একটি পরিষ্কার বার্তা দেবে যে, আমরা আমাদের গণতন্ত্রের ওপর, আমাদের কমিউনিটির ওপর, আমাদের স্কুলের ওপর এবং আমাদের বন্ধু ও প্রতিবেশীদের ওপর তাদের হাত চাই না।”
যদিও এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজ এবং ইলন মাস্ক কেউই এখন পর্যন্ত মন্তব্য করেননি।
বিক্ষোভের ইভেন্টের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১৫০টি অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ এই বিক্ষোভের যোগ দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য ছাড়াও ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, মেক্সিকো এবং পর্তুগালে বিক্ষোভের পরিককল্পনা করা হয়েছে। এরমধ্যে ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল মলের সামনে সবচেয়ে বড় র্যালি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণ করে ট্রাম্প বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। সমালোচকদের মতে, এসব নির্বাহী আদেশ ট্রাম্পের ‘প্রজেক্ট ২০২৫’ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এছাড়া কনজারভেটিভদের সঙ্গেও এগুলোর যোগসূত্র আছে। এর মাধ্যমে মূলত সরকারকে ঢেলে সাজানো এবং প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা শক্তিশালী করতে চান ট্রাম্প। তার সমর্থকরা এসব আদেশের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তাদের মতে লিবারেলদের থামাতে এগুলোর প্রয়োজনীয়তা আছে।
এদিকে, ট্রাম্পের পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্তগুলি অনেক আইনি বাধার মুখে পড়েছে। যার মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের ছাঁটাই, অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো এবং ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকার হ্রাসের মতো বিষয়গুলো রয়েছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- যারা বৃত্তি পাবে না, তাদের জন্য পার্ট-টাইম জবের চিন্তা-ভাবনা
- ডুয়া নিউজের বিশেষ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা!
- ডিভিডেন্ড-ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল ১৯ কোম্পানি
- বহুজাতিক কোম্পানির ‘এ’ ক্যাটাগরিতে প্রত্যাবর্তন
- ডিভিডেন্ড-ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল ১২ কোম্পানি
- সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, এনসিপির সকল কার্যক্রম স্থগিত
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- শেয়ারবাজারে চমক দেখাল দুই বহুজাতিক কোম্পানি
- ৬ জায়গায় হবে ডাকসুর ভোটগ্রহণ
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- সর্বোচ্চ চাহিদার শীর্ষে ৪ কোম্পানির শেয়ার
- পাঁচ কোম্পানির শেয়ারে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ
- যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ বাজার থেকে বাদ পড়তে পারে বাংলাদেশ
- ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই’
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা