ঢাকা, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২
ইসরায়েলি হামলায় প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ

ডুয়া ডেস্ক : বিনা উস্কানিতে আবারও ফিলিস্তিনের গাজায় নৃশংস হামলা ও গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এতে ক্ষোভে ফেটে পরেছে পুরো বিশ্ব। দখলদার ইসরায়েলের এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞের তীব্র প্রতিবাদ হয়েছে ইউরোপের দেশ পর্তুগালে।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে লিসবনের ঐতিহাসিক রসিও স্কয়ারে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
দেশটির মানবাধিকার সংগঠন ‘মুভিমেন্টো পেলোস ডিরেইটোস দো পোভো প্যালেস্টিনো এ পেলা পাজ নো মেডিও ওরিয়েন্টে (এমপিপিএম)’-এর নেতৃত্বে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে শত শত মানুষ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানাতে একত্রিত হন।
গত ৪৮ ঘণ্টায় গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত নতুন করে ৫০৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৯০০ এর অধিক ফিলিস্তিনি। এদের মধ্যে শিশু রয়েছে ২০০ জনের অধিক।
পর্তুগালের মানবাধিকার সংগঠনটি বলেছে, ‘নিরপরাধ নাগরিক তথা শিশুদের ওপর হামলা মানবতাবিরোধী অপরাধ। পর্তুগাল ও বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দের অবশ্যই এই সহিংসতা বন্ধে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে।’
রসিও স্কয়ারজুড়ে ফিলিস্তিনি পতাকা, হামলায় নিহতদের ছবি ও অস্ত্র বন্ধ কর, শান্তি চাই লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল। বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিন মুক্ত কর, ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধ কর, স্লোগানে মুখরিত করেন স্কয়ার।
এমপিপিএম-এর সমন্বয়ক জোসে অলিভেইরা ভাষণে বলেন, “ইসরায়েল নিরপরাধ মানুষের ওপর বর্বর হামলা করছে, গাজার শিশুরা খাদ্য ও ওষুধের অভাবে মরছে, আর আমরা নীরব থাকব? পর্তুগাল সরকারকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক প্রভাব তৈরি করতে হবে।”
সমাবেশে ইসরায়েলের সঙ্গে পর্তুগালের সামরিক চুক্তি বাতিল, ফিলিস্তিনে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি তোলা হয়।
এই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া স্থানীয় শিক্ষার্থী ক্রিস্টিনা ফেরেইরা বলেন, “এটা আসলে গণহত্যা, আমরা শুধু ন্যায়বিচার চাই, মানবিকতার প্রশ্নে ইউরোপীয় নেতারা চুপ করে থাকতে পারেন না। জরুরি হস্তক্ষেপ নিতে হবে।”
পর্তুগালের বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে— ব্লক এস্কেরদা, লিব্রে ও পিসিপি, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলের নৃশংসতার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা সংবাদ মাধ্যমে নিজেদের দৃঢ় অবস্থান প্রকাশ করে পর্তুগাল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগ করে গণহত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। একই সঙ্গে, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা এবং ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পর্তুগালের স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সমাবেশ শেষে ৩০ মার্চ ফিলিস্তিন দিবস উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে ৩০ মার্চ লিসবনের মার্তিম মুনিজে পার্কে বিকেল ৪ টায় পোর্তোতে জার্দিম ইনফ্যান্টে ডি. হেনরিকে বিকেল ৪টায় এবং কোয়েম্ব্রাতে সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- খোঁজ মিলছে না আয়াতুল্লাহ খামেনির!
- আট কোম্পানির উদ্যোক্তাদের নিয়ন্ত্রণে ৮০ শতাংশের বেশি শেয়ার
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ১১০ কোটি টাকার খেলাপি গ্রাহক গ্রেপ্তার
- ঢাবির হলে প্রকাশ্যে ধূমপানে ২০০ টাকা জরিমানার ঘোষণা
- প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে ৮ কোম্পানি: ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ
- ১০ শতাংশ শেয়ারও নেই ৮ কোম্পানির উদ্যেক্তা-পরিচালকদের
- সরকারি চাকরিতে আসছে অবসরের নতুন নিয়ম
- এক কোম্পানির যাদুতেই শেয়ারবাজারে উত্থান!
- ‘র’-এর ৬ এজেন্ট গ্রেপ্তার
- রেকর্ড দামে তিন প্রতিষ্ঠান: বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তিন কোম্পানি
- ২১ বস্ত্র কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা নজরকাড়া তলানিতে
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
- রেকর্ড তলানিতে তিন কোম্পানির শেয়ার: বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ
- পদোন্নতি পাবেন না যেসব সরকারি কর্মকর্তারা