ঢাকা, রবিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২
শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ডুয়া ডেস্ক : গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ও সুবিধাভোগী অনেক প্রভাবশালী পুলিশ সদস্য আত্মগোপনে চলে যান। ইতিমধ্যে অনেকে গোপনে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
দুর্নীতির অভিযোগ ও আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞে জড়িত এসব পুলিশ সদস্যরা অসাধু সরকারি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। এদের একটি তালিকা তৈরি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়।
পরবর্তী অনুসন্ধানে আরও একটি তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে, যেখানে ৪৬৭ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে তিনটি গোয়েন্দা সংস্থায় পাঠানো হয়েছে।
তালিকার মধ্যে অন্তত একশ জনের মতো দেশ ছেড়ে চলে গেছেন বলে আমরা তথ্য পেয়েছি, এমনটি জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, তাদের অবস্থান চিহ্নিত করতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সবার বিষয়ে সব ধরনের তথ্য দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দর ও সীমান্তে নজরদারি করা হচ্ছে। তবে অহেতুক কাউকে হয়রানি করা হবে না। তালিকাভুক্ত কর্মকর্তারা ছাত্র-জনতার হত্যাকাণ্ড, গুম ও খুন এবং রাতের বেলায় ভোট নেওয়ার অভিযোগ আছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগের নেতারাও নানা অপকর্মে সম্পৃক্ত।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন- পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, সিআইডির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া, সাবেক অতিরিক্ত সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার লুৎফুল কবির, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন, সাবেক আইজিপি ব্যারিস্টার হারুন অর রশীদ, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি, মীর রেজাউল আলম, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, আইজিপি মো. আব্দুল বাতেন, ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ
আরও রয়েছেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, অ্যাডিশনাল ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, সাবেক ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র, সাবেক ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান, সাবেক ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান, সাবেক ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক, সাবেক ডিআইজি সরদার রকিবুল ইসলাম, সাবেক ডিআইজি মো. ইমাম হোসেন, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হক।
এছাড়া, ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সুপার ছিলেন ঢাকা জেলায় শাহ মিজান শাফিউর রহমান, গাজীপুরে শামসুন্নাহার, নারায়ণগঞ্জে হারুন অর রশীদ, নরসিংদীতে মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, মানিকগঞ্জে রিফাত রহমান শামীম, ফরিদপুরে জাকির হোসেন খান, শরীয়তপুরে আবদুল মোমেন, মাদারীপুরে সুব্রত কুমার হালদার, গোপালগঞ্জে সাইদুর রহমান খান, রাজবাড়ীতে আসমা সিদ্দিকা মিলি, কিশোরগঞ্জে মাশরুকুর রহমান খালেদ, টাঙ্গাইলে সঞ্জিত কুমার রায়সহ ওই সময়কার ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার, সবকটি রেঞ্জের ডিআইজি ও মহানগর পুলিশ কমিশনার।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান