ঢাকা, বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২
যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি ছাত্রকে গ্রেফতার, শঙ্কায় সহপাঠীরা

ডুয়া নিউজ: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনের অন্যতম নেতৃস্থানীয় এক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের এজেন্টরা। ভুক্তভোগী ছাত্র মাহমুদ খলিল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স-এর স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় শঙ্কা প্রকাশ করছেন সহপাঠীরা।
রোববার (৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।
তিনি গত বছর ক্যাম্পাসে হওয়া ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনের প্রধান সংগঠকদের একজন ছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন। তার গ্রেফতারকে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নীতির অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
রোববার তার চারজন সহপাঠী জানিয়েছেন, শনিবার খালিলকে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন থেকে মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা দপ্তরের (ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি – ডিএইচএস) এজেন্টরা গ্রেফতার করেছে।
তার সহপাঠী মরিয়ম আলওয়ান এবং আরও তিনজন শিক্ষার্থী, যারা নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশ করেননি, জানান খালিলকে টার্গেট করা হচ্ছিল কারণ তিনি মিডিয়ায় কথা বলতেন এবং কলাম্বিয়ায় ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের অন্যতম মুখপাত্র তিনি।
প্রবাসী শিক্ষার্থীদের টার্গেট করছে ট্রাম্প প্রশাসন?
ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনে যুক্ত কিছু বিদেশি শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করবে। খলিলের গ্রেফতার সেই নীতির বাস্তবায়নের প্রথম দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলে হামলা এবং তার পরবর্তী ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনের ঢেউ ওঠে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সেই আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণে তারা কোনও শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করতে পারেন না।
এদিকে, ডিএইচএস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
শুক্রবার ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে, তারা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের সরকারি চুক্তি ও অনুদান বাতিল করেছে। প্রশাসনের দাবি, ক্যাম্পাসে ও আশেপাশে ঘটে চলা ইহুদিবিদ্বেষের হয়রানির কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
গ্রেফতারের কয়েক ঘণ্টা আগে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খলিল বলেছিলেন, তিনি মনে করছেন সরকার ও কিছু রক্ষণশীল ইসরাইলপন্থি গোষ্ঠী তাকে টার্গেট করছে কারণ তিনি মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে দুইবার পুলিশ ডেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করিয়েছে, অনেককে বহিষ্কার করেছে, কিন্তু তাতেও সরকারের রোষ থামেনি। স্পষ্টতই ট্রাম্প প্রশাসন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে আইভি লিগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে তাদের বৃহত্তর রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে আমাদের আন্দোলনকে ব্যবহার করছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্র ও বহুজাতিক ১৫ কোম্পানি
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধনে নতুন মাইলফলক
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৭ প্রতিষ্ঠান
- নতুন সিনেট সদস্য হলেন ঢাবির ৫ অধ্যাপক
- বিকালে আসছে ১০ কোম্পানির ইপিএস
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সর্বোচ্চ উচ্চতায় ১৭ কোম্পানির শেয়ার
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১২ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহ উদ্ধার
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৯ কোম্পানি
- ‘মুজিব’স ব্লান্ডার্স’: নেপথ্যের ষড়যন্ত্র উন্মোচন