ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২
ব্যাংকের সুদহার নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন গভর্নর

ডুয়া ডেস্ক: ব্যবসায়ীদের চাপে সুদহার কমানো হবে না। প্রথমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসতে হবে, তারপর ধীরে ধীরে পলিসি রেট কমানো হবে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ব্যাংক খাতের পুনরুদ্ধারের পথযাত্রা শীর্ষক একটি আলোচনায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয় ইস্কাটনে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড কার্যালয়ে।
গভর্নর বলেন, "আমি চাই পলিসি রেট বাস্তবিক অর্থে ইতিবাচক হোক, না হলে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ইতিবাচক সুদহার রয়েছে, যা আমাদের অনুসরণ করতে হবে। তবে আমাদের সুদহার কাঠামো ও মূল্যস্ফীতি সঠিক পথে চলছে এবং সময়মতো এর ইতিবাচক প্রভাব অর্থনীতিতে পড়বে। ব্যবসায়ীদের চাপের কারণে সুদহার কমানো হবে না। মূল্যস্ফীতি, ট্রেজারি বিল ও ইন্টারেস্ট পলিসির রেট কমানোর পর পলিসি রেট ধীরে ধীরে কমানো হবে।"
ব্যাংকিং খাত নিয়ে তিনি আরও বলেন, "আমরা ব্যাংকিং খাতকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে চাই এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্তিশালী করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বিশ্বব্যাংক আমাদের সহায়তা করছে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আমরা চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করতে চাই। তবে সব সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে হবে না, পরবর্তী সরকারও এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে।"
গভর্নর বলেন, "ব্যাংকের পরিচালক হতে হলে ফিট অ্যান্ড প্রপার টেস্ট (অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা পরীক্ষা) হতে হবে। বর্তমানে যারা ব্যাংকের পরিচালক তাদেরও এই যাচাই–বাছাইয়ের মধ্যে যেতে হবে। যাদের যোগ্যতা নেই তাদের পরিচালক হিসেবে রাখা হবে না। ব্যাংকের মালিকদেরও এই যাচাই–বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।"
সরকারের ঋণ নিয়ে একটি চক্রের মধ্যে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, "আমি কখনও চাটুকারিতা করে টাকা আনতে যাব না। গত ৬ মাসে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত রিজার্ভ পতন ঠেকানো, বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা, রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বৃদ্ধির কারণে ইতিবাচক অবস্থায় ফিরে এসেছে। কেবল রাজস্ব আয় বাড়াতে পারলে মাত্র ৪.৫ বিলিয়ন ডলারের জন্য আইএমএফ-এর কাছে ধর্না দিতে হত না।"
সম্পদের পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমরা আশা করতে পারি যে, বাংলাদেশে কিছু রায় পাবে এবং বিদেশে কিছু সম্পত্তি আটকানো সম্ভব হবে। যদিও অর্থ ফেরত আনা দীর্ঘ সময়ের প্রক্রিয়া, তবে আশা ছাড়েনি। নাইজেরিয়া, মালয়েশিয়া, অ্যাঙ্গোলা সফলভাবে অর্থ পুনরুদ্ধার করেছে।"
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- শেয়ার কারসাজিতে শ্যালক–দুলাভাইর দেড় কোটি টাকা জরিমানা
- চার কোম্পানির আর্থিক অনিয়মের দায়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে ৬ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত