ঢাকা, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২
চাঁদে প্রথমবারের মতো চলছে মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপনের প্রস্তুতি
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক: নোকিয়া এবং ইনটুইটিভ মেশিনস একত্রে তাদের ‘লুনার সারফেস কমিউনিকেশন সিস্টেম’ চাঁদের বুকে স্থাপন করার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নোকিয়া জানিয়েছে, যদি কোনো সাধারণ স্মার্টফোন মহাকাশ ভ্রমণ এবং চাঁদের প্রতিকূল পরিবেশ সহ্য করতে সক্ষম হয় তবে সেটি এই নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হয়ে ব্যবহার করা যাবে। তবে এজন্য প্রয়োজন হবে একটি বিশেষ ‘লুনার সিম কার্ড’।
এই প্রযুক্তিটি ইনটুইটিভ মেশিনসের আইএম-২ মিশন ল্যান্ডার ‘অ্যাথেনা’-তে ইনস্টল করা হয়েছে এবং এটি ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে। মিশনটির উদ্দেশ্য হলো চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অবতরণ করে রোভার এবং 'হপার' মোতায়েন করা। সেইসাথে চাঁদের কক্ষপথে একটি যোগাযোগ উপগ্রহ স্থাপন করা।
নোকিয়ার এই মিশনটির মূল লক্ষ্য হলো চাঁদের পৃষ্ঠে প্রথমবারের মতো ফোরজি/এলটিই নেটওয়ার্ক স্থাপন করা। পূর্বে মহাকাশযানগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য সাধারণত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলেও নাসার আর্টেমিস কর্মসূচির ভবিষ্যৎ অভিযানে আরও উন্নত এবং কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রয়োজন। নোকিয়া বেল ল্যাবস সলিউশনস রিসার্চের প্রেসিডেন্ট থিয়েরি ক্লেইন বলেন, “আমরা প্রমাণ করতে চাই যে সেলুলার প্রযুক্তি চাঁদ ও মঙ্গলের মতো অভিযানের জন্য নির্ভরযোগ্য এবং কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা দিতে পারে।”
লুনার সারফেস কমিউনিকেশন সিস্টেম নেটওয়ার্কটি অ্যাথেনার কার্বন-কোম্পোজিট প্যানেলে সংযুক্ত এবং এটি মহাকাশের কঠোর পরিবেশ সহ্য করার জন্য থার্মাল প্রোটেকশন সিস্টেম দ্বারা সুরক্ষিত। এটি সৌর প্যানেল থেকে শক্তি গ্রহণ করবে এবং অ্যাথেনার অ্যান্টেনার মাধ্যমে সংকেত আদান-প্রদান করা হবে।
মিশনটি চাঁদের পৃষ্ঠের পরিবেশগত তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি দুটি ছোট চন্দ্রযানে যোগাযোগ মডিউল সংযুক্ত করবে। মাইক্রো-নোভা হপার (গ্রেস) একটি যান, যা চাঁদের চিরস্থায়ী ছায়াচ্ছন্ন গহ্বর অন্বেষণ করে পানি বরফ খুঁজবে এবং মোবাইল অটোনোমাস প্রসপেক্টিং প্ল্যাটফর্ম রোভার চাঁদের পৃষ্ঠের মানচিত্র তৈরি করবে।
যদিও এই মিশনটি শুধুমাত্র একটি পরীক্ষামূলক ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে এটি ভবিষ্যতের মহাকাশ অভিযানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। চাঁদে ফোরজি নেটওয়ার্ক স্থাপন নিয়ে কিছু বিজ্ঞানী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কারণ এর ফ্রিকোয়েন্সি মহাজাগতিক পর্যবেক্ষণের জন্য সংকেত বিঘ্নিত করতে পারে।
নোকিয়া এবং ইনটুইটিভ মেশিনস আশা করছে আইএম-২ মিশন সফল হলে চাঁদে আরও বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার পথ খুলে যাবে এবং দীর্ঘমেয়াদে চাঁদে স্থায়ী মানব উপস্থিতি এবং একটি চন্দ্র অর্থনীতি গড়ে তোলার ভিত্তি স্থাপন করবে।
তথ্য : দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বদলে গেছে ধারণা, বিস্মিত ইসরায়েল
- শেয়ারবাজারের শর্ত পূরণে ৬০ কোম্পানিকে বিএসইসির আল্টিমেটাম
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- ‘বিপর্যয় থেকে বিশ্ব মাত্র কয়েক মিনিট দূরে’
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- ঢাবিতে হটাৎ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, ককটেল বি-স্ফো-র-ণ
- কারাগারে ফাঁসিতে ঝুললেন সেই অস্ত্রধারী আ’লীগ নেতা
- একাধিক মিসাইল ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া
- দুর্বল ১৫ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তির চিন্তাভাবনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাবিতে ক্লাস ছুটি কতদিন, যা জানা গেল
- লন্ডন ছাড়ছেন তারেক রহমান
- জেরুজালেম ও তেল আবিবে বড় বিস্ফোরণ, ট্রাম্পের জরুরি বৈঠক
- বিএসইসির তদন্তের জালে শেয়ারবাজারের ৫ ঋণগ্রস্ত কোম্পানি