ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২
ঢাবি শিক্ষককে মারধর করলো বাসের চালক-হেল্পার
.jpg)
ঢাবি প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মিরপুর সুপার লিংক (৩৬ নম্বর) বাসের ড্রাইভার এবং হেল্পারের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক।
ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম আদীব শাহরিয়ার জামান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
পাঠকের উদ্দেশে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষকের বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো, “আজকে ১৫-২০ মিনিট আগে আমাকে মিলে শত মানুষের সামনে মেরেছে।
আমি আজকে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটের এডমিশন এক্সাম ডিউটি শেষ করে মেট্রোরেল না থাকায় লোকাল বাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নেই। দীর্ঘদিন লোকাল বাসে ওঠার অভ্যেস নেই। যাই হোক, ৩৬ নাম্বার বাসে উঠি নিউমার্কেট থেকে। বাসটি মিরপুর ১০ এ এসে সিগনালে পরে। দীর্ঘ মিনিট বিশেক সিগনালে দাঁড়ানোর পর সিগনাল ছাড়লে বাসটি আরেকবার ইচ্ছাকৃতভাবে আটকাতে নেয়। বাসের অর্ধেকের মত যাত্রীই ছিল ভর্তি পরীক্ষার্থী। তারা অনুনয় করতে থাকে সিগনাল পার হবার জন্য। কিন্তু এরপরেও বাসটি কেবল বায়েই ঘেঁষতে থাকে। আমি তখন ধমক দেই।
ধমকের উত্তরে ড্রাইভার আর হেল্পার তর্ক করতে শুরু করে এবং বায়ে একদম ফুল হোল্ড করে দাঁড়িয়ে যায়। আমি তখন হুশ হারিয়ে গালি দেই। এটা আমার ভুল ছিল। কিন্তু সংগে এও যোগ করতে চাই যে আমার কোনও তাড়া ছিল না, আমি কেবলই পরীক্ষার্থীদের স্বার্থ চিন্তা করে কাজটা করি।
এরপর ড্রাইভার আমাকে হুমকি দেয় যে আমার স্টপেজে (১১ নাম্বার) আমাকে নামতে দেবে না। একবার লাস্ট স্টপেজে নিয়ে তারা আমাকে পিটাবে। এরজন্য এমনকি তারা অন্য যাত্রীকেও জায়গা মত নামতে দিচ্ছিল না। এতে আমি আবারও রাগারাগি করি এবং ১১ নাম্বারের কাছে বাস থামাতে বাধ্য করি। তখন ড্রাইভার আর হেল্পারও আমার সাথে নামে। ড্রাইভার একটা বাঁশ জোগাড় করে। সেটা দিয়ে সে আমার মাথায় বারি দেয়।
সম্ভবত বেশি জোরে বাড়ি দেয় নাই, কারণ ব্যথা করছে না। অথবা কাল সকালে টের পাব। এছাড়াও ড্রাইভার আমার পেটে লাথি দেয়, গেঞ্জি টেনে ছিঁড়ে ফেলে। এই সময়ে রাস্তা ভর্তি লোক আমাদেরকে ঘিরে থাকে এবং দেখতে থাকে। যেই পরীক্ষার্থীদের জন্য স্ট্যান্ড করেছিলাম, তারাও বাসে বসে জানালা দিয়ে পুরা ঘটনা দেখে। এরপর তাড়াতাড়ি করে বাসে উঠে ড্রাইভার আর হেল্পার বাস টান দেয়।”
তিনি অভিযোগ করেন, “পরীক্ষার্থীরা আশা করি সময়মত পরীক্ষার হলে পৌছাতে পেরেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একটা প্রশ্ন: যদি শুক্রবার বাস সার্ভিস দিতে না পারেন শিক্ষকদের, তাহলে এক্সাম নেয়ার দায়িত্ব কেন নেন?”
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ারবাজারে ইতিহাস গড়লেন ‘ছাগল-কাণ্ডের’ সেই মতিউর
- শেয়ারবাজারে হঠাৎ দরপতন, নেপথ্যে এনবিআরের চিঠি
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সোনালী পেপারের কারসাজিতে জেনেক্স ইনফোসিসের পরিচালকদের জরিমানা
- চার কোম্পানির আর্থিক অনিয়মের দায়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে ৬ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান