ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২
আসছে পবিত্র শবে বরাত, যেভাবে করবেন ইবাদাত

ডুয়া ডেস্ক : শাবান মাস হলো আমলনামা উত্থাপনের মাস। এ মাসে আল্লাহর দরবারে আমাদের এক বছরের আমল পেশ করা হয়। তাই এই মাসে বিশেষভাবে ইবাদত-বন্দেগিতে মনোযোগী হওয়া উচিত।
শাবান মাসটি রমজানের আগমনী বার্তা। এটি আমাদের শারীরিক ও আত্মিকভাবে রমজানের প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ প্রদান করে। এই মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখা উত্তম, বিশেষত ১৩, ১৪, ১৫ তারিখের রোজাগুলো রাখলে অনেক বেশি বরকত লাভ হয়।
শাবান মাসের একটি ফজিলত হল, অর্ধ-শাবানের রাত। অর্থাৎ চৌদ্দ শাবান দিবাগত রাত। এ রাতের বিশেষ ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "আল্লাহ তায়ালা অর্ধ-শাবানের রাতে সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন, অতঃপর তিনি তার সকল সৃষ্টিকে ক্ষমা করে দেন, তবে শিরককারী ও বিদ্বেষপোষণকারী ব্যতীত (এই দুই শ্রেণিকে তিনি ক্ষমা করেন না)।" (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৫৬৬৫, বাইহাকী ৩/৩৮২, হাদিস : ৩৮৩৩)
ওলামায়ে কেরামের বক্তব্য হল, কোনো বিশেষ সময়ের ব্যাপারে আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত ও মাগফিরাতের ঘোষণা এলে করণীয় হল, সেই সময়ে সকল গুনাহ থেকে বিরত থেকে নেক আমলের প্রতি যত্নবান হওয়া, যেন আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাতের উপযুক্ত হওয়া যায়।
শবে বরাতে করণীয় ও বর্জনীয়: ইবাদত-বন্দেগিতে মনোযোগী হওয়া, বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া, ইস্তিগফার, নফল নামাজ আদায় করা উচিত। দরিদ্রদের সাহায্য করা, জাকাত ও দান-সদকা দিয়ে গরিব-অসহায়দের সাহায্য করা উচিত। ১৪ শাবানের দিবাগত রাতে রাত জাগরণ, দোয়া, ইবাদত ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা সুন্নত আমল।
বর্জনীয়: অনেক অনির্ভরযোগ্য আমলের বই-পুস্তকে এই রাতে নামাজের যে নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন লেখা আছে, যেমন এত রাকাত নামাজ পড়তে হবে, প্রতি রাকাতে এই সূরা এতবার পড়তে হবে ইত্যাদি, এগুলো ঠিক নয়। বরং স্বাভাবিকভাবে যেকোনো সূরা দিয়ে দুই রাকাত করে নফল নামাজ পড়বে। এগুলো বিদআত ও কুসংস্কার।
শাবান মাসে কিছু ভুল বিশ্বাস ও বিদআত ছড়িয়ে আছে। যেমন ১৪ শাবানের দিবাগত রাতে বিশেষ পদ্ধতিতে নামাজ পড়া, হালুয়া-রুটির আয়োজন করা, কবর জিয়ারতকে ফরজ মনে করা ইত্যাদি।
এগুলোর কোনো প্রমাণ সহিহ হাদিসে নেই। শাবান মাসে আমাদের উচিত গুনাহ থেকে বিরত থাকা, মিথ্যা বলা, গিবত করা এবং হারাম কাজে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকা, কারণ এ মাসে আমলনামা উত্থাপিত হয়।
শুধু শাবানের ১৪ তারিখের দিবাগত রাতকে ইবাদতের জন্য নির্দিষ্ট করা, অনেকে মনে করে, শুধু এই রাতেই ইবাদত করতে হবে, অন্য রাতের গুরুত্ব নেই। এটি ভুল ধারণা। বরং পুরো মাসজুড়েই ইবাদত করা উচিত।
শাবান মাস হলো আল্লাহর এক বিশেষ অনুগ্রহ, যা গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার, আমলনামা শুদ্ধ করার এবং রমজানের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার সুবর্ণ সুযোগ।
সুতরাং, আসুন আমরা এই মাসকে গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করি, বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করি এবং রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ অনুসরণ করি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই বরকতময় মাসের ফজিলত অর্জন করার তাওফিক দান করুন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরাসরি পারমাণবিক অ'স্ত্র পাবে ইরান!
- প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা থেকে লোকসানে গেল চার ব্যাংক
- সাত কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের পুঁজির বড় অংশ উধাও
- যেসব শর্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলো ইরান
- পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার
- ইরানে বড় ধ্বংসলীল : ৬ বিমানবন্দরে একযোগে হামলা
- খোঁজ মিলছে না আয়াতুল্লাহ খামেনির!
- হা'মলার পর হন্যে হয়ে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের
- ভিডিও ফাঁস করার বিষয়ে মুখ খুলেছেন শরীয়তপুরের সেই ডিসি
- মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা; উত্তেজনা তুঙ্গে
- জবাব দিতে শুরু করেছে ইরান
- শেয়ার কিনেছেন চার কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা
- মোবাইলে কল এলেই ইন্টারনেট বন্ধ? এক মিনিটেই সমাধান!
- পর্যাপ্ত রিজার্ভ থাকা সত্বেও ফেসভ্যালুর নিচে ১৬ ব্যাংকের শেয়ার
- মুন্নু সিরামিকের বিনিয়োগকারীদের জন্য দারুণ সুখবর