ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২

কারাবন্দিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে ইসির নতুন সিদ্ধান্ত

২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১৪:৪৬:৪১

কারাবন্দিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে ইসির নতুন সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: কারাবন্দি বা আইনি হেফাজতে থাকা নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নির্দেশনার ফলে জেলখানায় বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থাকা ভোটাররাও নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ভোট দিতে পারবেন।

নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০০৮ (সংশোধন ২০২৫)-এর বিধি ১০ক অনুসারে ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোটিং’ (আইসিপিভি) ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এ সংক্রান্ত নির্দেশিকায় নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষর করেছেন।

নির্দেশিকাটি কারা মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর (ডিএফপি) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

ইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জেলখানা বা আইনি হেফাজতে আটক ভোটারদের তালিকাভুক্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যাচাই ও অনুমোদন করা হবে। এ জন্য একটি বিশেষ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম (https://prisoner.ocv.gov.bd/login) ব্যবহার করা হবে। নিবন্ধন প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য প্রতিটি জেলখানা বা হেফাজত কর্তৃপক্ষ দুইজন করে প্রতিনিধি মনোনয়ন দেবে।

নিবন্ধন শেষ হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিল ও স্বাক্ষরসহ ভোটারদের মুদ্রিত তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠাবে। পাশাপাশি মনোনীত প্রতিনিধিরা ভোটারদের প্রয়োজনীয় তথ্য নির্ধারিত পোর্টালে .xls বা .csv ফরম্যাটে আপলোড করবেন।

নিবন্ধিত বন্দি ভোটাররা জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটের খাম গ্রহণ করবেন। নির্বাচন কমিশন থেকে পাঠানো খামে থাকবে— জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য দুটি আলাদা ব্যালট পেপার, ভোট প্রদানের নির্দেশিকা, একটি ঘোষণাপত্র এবং রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানাসংবলিত একটি ফেরত খাম।

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণের জন্য জেলখানা বা আইনি হেফাজত এলাকায় গোপন কক্ষ বা ভোটকক্ষ প্রস্তুত করতে হবে, যাতে ভোটাররা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন। পোস্টাল ব্যালটে কোনো প্রার্থীর নাম থাকবে না; শুধুমাত্র প্রতীক ও প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘর থাকবে। এজন্য কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ভোটারদের সরবরাহ করবে।

সংসদ নির্বাচনের ব্যালটে প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক (√) অথবা ক্রস (x) চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে হবে। একইভাবে গণভোটের ব্যালটে হ্যাঁ বা না-এর পাশে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিতে হবে। ভোট দেওয়ার আগে ঘোষণাপত্রে ভোটারের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর লিখে স্বাক্ষর করতে হবে। স্বাক্ষরে অক্ষম হলে অন্য একজন ভোটার তা সত্যায়ন করবেন।

ভোট প্রদান শেষে ব্যালট পেপার দুটি ছোট খামে রেখে তা বন্ধ করতে হবে। এরপর ব্যালট পেপার-সংবলিত খাম ও স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্র একত্রে রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা মুদ্রিত হলুদ খামে রেখে বন্ধ করে নির্ধারিত স্থানে জমা দিতে হবে।

ভোটগ্রহণ শেষ হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পোস্টাল ব্যালটের সব খাম নিরাপদে সংরক্ষণ করবে এবং দ্রুত ডাক বিভাগের মাধ্যমে রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ডাক মাশুল ভোটারকে দিতে হবে না; সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করবে বাংলাদেশ সরকার।

এমজে/

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত