ঢাকা, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

‘নারী জাগরণের আলোক দিশারি বেগম রোকেয়া’

২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ১০:২৬:২৬

‘নারী জাগরণের আলোক দিশারি বেগম রোকেয়া’

নিজস্ব প্রতিবেদক: নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি রোকেয়ার জীবন, সংগ্রাম ও নারীমুক্তি-বিষয়ক দর্শনের ওপর আলোকপাত করেন।

তারেক রহমান লিখেছেন, রক্ষণশীল পরিবারে বেড়ে উঠলেও বেগম রোকেয়া সময়ের সীমা ভেঙে নারী জাগরণের পথিকৃৎ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। সমাজে নারীর পিছিয়ে পড়া অবস্থান তিনি নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিলেন। শিক্ষা যে নারীর আত্মমর্যাদা অর্জনের মূল চাবিকাঠি তিনি তা বিশ্বাস করতেন।

তিনি বলেন, ‘বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন রক্ষণশীল পারিবারিক পরিবেশে বেড়ে উঠলেও তিনি সেই সময়ে অগ্রণী এক অগ্রদূত। নারী জাগরণের একজন আলোক দিশারি।’

তিনি উল্লেখ করেন, বেগম রোকেয়া নারীশিক্ষার প্রসারকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন এবং শিক্ষার মাধ্যমে নারীর ব্যক্তিত্ব বিকাশের পথ উন্মুক্ত করেছেন। বিশেষত মুসলিম নারীদের অন্ধকার থেকে আলোয় আনতে তিনি প্রথম দিককার উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।

নারীমুক্তির পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় রোকেয়াকে তৎকালীন সমাজের কট্টর রক্ষণশীল মহলের প্রবল প্রতিরোধ ও আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তবুও তিনি ছিলেন অদম্য ও অবিচল, দায়িত্ববোধে স্থির।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ভাষ্য রোকেয়া তার ধারালো লেখনীর মাধ্যমে সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্য ও অন্যায়ের শেকলে সরাসরি আঘাত হেনেছেন। সংসার, সমাজ ও অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে নারীর স্বাধীনতা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় তিনি আজীবন কাজ করেছেন। নারীর স্বাবলম্বিতা নিশ্চিত করতে তিনি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, প্রতিকূলতার মাঝেও।

শেষে তারেক রহমান লিখেছেন, বেগম রোকেয়ার চিন্তা ও কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু ছিল নারীর প্রকৃত স্বাধীনতা। তাঁর আদর্শ ও সংগ্রামী জীবন আগামী প্রজন্মের নারীসমাজকে আরও দৃঢ় ও অনুপ্রাণিত করবে।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত