ঢাকা, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

গণভোটে না’ বলার সুযোগ কোথায়? সরকারের কাছে প্রশ্ন রিজভীর

২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১৪:২১:২২

গণভোটে না’ বলার সুযোগ কোথায়? সরকারের কাছে প্রশ্ন রিজভীর

নিজস্ব প্রতিবেদক: গণভোটের চারটি প্রশ্নের প্রতিটিতেই একমত থাকার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানতে চেয়েছেন “ভোটার যদি একটির সঙ্গেও দ্বিমত পোষণ করে, তাহলে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়?” সরকারের কাছে এই প্রশ্ন রেখে তিনি দাবি করেন, গণভোটের কাঠামোতেই জনগণের মতামত দেওয়ার স্বাধীনতাকে সীমিত করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে অসুস্থ বেতার শিল্পী আফরোজা নিজামীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন রিজভী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

রিজভী অভিযোগ করেন, সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত রেখে কোনো গণভোট দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। তার ভাষায়, “যদি দেশের ৯০ শতাংশ মানুষই গণভোটের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে না পারে, তাহলে তারা সেই অন্ধকারেই থেকে যাবে।” তিনি পরামর্শ দেন মানুষের বোঝার সুবিধার্থে প্রশ্নগুলো সুস্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা উচিত।

তিনি বলেন, গণভোটে চারটি প্রশ্ন রাখা হলেও কোথাও ‘না’ এর বিকল্প নেই। জনগণ যদি অসম্মতি জানাতে চায়, তা জানানোর পদ্ধতিই অনির্দিষ্ট। যা প্রশ্নমালার বিশ্বাসযোগ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সারাদেশে মানুষের ভোগান্তি বাড়লেও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ খুবই সীমিত। স্বাধীনতার পর থেকেই জনসেবামূলক কাজে রাষ্ট্রের সক্রিয়তা কম বলে মন্তব্য করেন তিনি। তার মতে, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত গণভোট, পিআর এর মতো ইস্যুতে না গিয়ে মানুষের মৌলিক অধিকার সুরক্ষায় মনোযোগী হওয়া।

রিজভী দাবি করেন, জুলাই সনদ যথাযথভাবে জাতির সামনে উপস্থাপন করা হয়নি। বিষয়টি আরও পরিস্কারভাবে তুলে ধরা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভারত থেকে বিপুল অর্থে দেশে নাশকতার তৎপরতা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ এবং ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। তার ভাষায় “শেখ হাসিনার বিচারের বিষয় আদালতের। মানুষ হত্যার বিচার জনগণ চায়।”

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘ঘোলাটে’ দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দাবি করে তিনি অভিযোগ করেন, “পতিত স্বৈরাচার” পাশের দেশে বসে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ঢাকা–গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি পোড়ানো ও সহিংস ঘটনা তাদেরই অংশ। তার মতে, এই সহিংস রাজনৈতিক চর্চা আওয়ামী লীগের ‘সংস্কৃতি’। তিনি আরও বলেন, সরকার যদি শুরু থেকেই ‘ফ্যাসিবাদের বিষদাঁত’ উপড়ে ফেলত, তবে বর্তমান সংকট তৈরি হতো না।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত