ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২

অন্তর্বর্তী সরকারের গণভোট আয়োজনের এখতিয়ার নেই: ফারুক রহমান

২০২৫ নভেম্বর ১৩ ১৪:৪১:৩৩

অন্তর্বর্তী সরকারের গণভোট আয়োজনের এখতিয়ার নেই: ফারুক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সাংবিধানিক বা আইনি ক্ষমতা নেই গণভোট আয়োজন কিংবা সাংবিধানিক আদেশ জারি করার এমন মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ফারুক রহমান বলেন, গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র আসলে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। যারা নির্বাচন বানচাল বা বিলম্বিত করতে চায়, তাদের পরিণতি সুখকর হবে না। জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের পথে কোনো বাধা আসলে তা প্রতিহত করা হবে।

তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ তাদের ১৫ বছরের শাসনামলে গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করে রেখেছিল। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবর্তে প্রহসনের ভোট আয়োজন করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বাকস্বাধীনতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাও কঠোরভাবে সীমিত ছিল। দীর্ঘ দেড় দশক দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ভূলুণ্ঠিত হয়ে ছিল।

ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পরও দেশে পূর্ণ গণতন্ত্র ফিরে আসেনি। দেড় বছর ধরে একটি অনির্বাচিত সরকার দেশের দায়িত্ব পালন করছে, যার কোনো জনগণ-প্রদত্ত ম্যান্ডেট নেই। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল দ্রুত সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া দীর্ঘসূত্রতায় পড়ে গেছে।

তিনি বলেন, সরকারপ্রধান বারবার ঘোষণা দিলেও ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে জনগণের মধ্যে সংশয় বাড়ছে।

ফারুক রহমান আরও বলেন, “জুলাই সনদকে ঘিরে সরকারের বর্তমান অবস্থান ও পদক্ষেপ গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি, সেগুলোকে জোর করে সংবিধানে যুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। এটি ঐকমত্য কমিশনের মূল চেতনার পরিপন্থী।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, এখন কিছু পক্ষ জাতীয় নির্বাচনের আগেই ‘সাংবিধানিক আদেশ’ জারি ও গণভোট আয়োজনের দাবি তুলছে, যা সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সর্বসম্মতি না থাকলে এমন কোনো গণভোট আয়োজন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করবে। অন্তর্বর্তী সরকারের সাংবিধানিক কাঠামোতে এমন কোনো এখতিয়ার নেই। তাই গায়ের জোরে গণভোটের আয়োজন গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কে. এম. রকিবুল ইসলাম রিপন। উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন খোকন, ন্যাশনাল লেবার পার্টির মুখপাত্র মো. শরিফুল ইসলাম এবং সমবায় দলের নেতা শাহ আলম বাবলু প্রমুখ।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত