ঢাকা, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২

আবু সাঈদ হ'ত্যা মামলার রায় জানুয়ারিতে: প্রসিকিউশন

২০২৫ নভেম্বর ১০ ১৪:৩১:৩২

আবু সাঈদ হ'ত্যা মামলার রায় জানুয়ারিতে: প্রসিকিউশন

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার মামলার বিচার আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রসিকিউশন।

রবিবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ প্রত্যাশার কথা জানান প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “এ মামলায় বেরোবির সাবেক উপাচার্য হাসিবুর রশীদসহ ৩০ জন আসামির বিরুদ্ধে আজ ১২ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নিয়েই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করব। নির্বাচনের আগে-পরে রায় হবে কি না, তা নির্ধারণের এখতিয়ার আমাদের নেই। তবে আমরা আশা করছি জানুয়ারির মধ্যেই বিচার শেষ হবে।”

সাক্ষী হাজির না হওয়ায় কয়েক দফা সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে একজন সাক্ষীর অসুস্থতার বিষয়টি একবার জানানো হয়েছিল। তাছাড়া অন্য মামলার তদন্তে ব্যস্ত ছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা, আমিও কিছুদিন ব্যক্তিগত কাজে বাইরে ছিলাম। তাই সামান্য বিলম্ব হলেও এটি কোনো ত্রুটি নয়। মামলা বিলম্বিত হচ্ছে এমন ধারণা ভুল। দ্রুত সময়ের মধ্যেই সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হবে।”

এদিন ট্রাইব্যুনালে ১২তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন বেরোবির শিক্ষার্থী আকিব রেজা খান, যিনি আবু সাঈদকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানোর জন্য রিকশায় তোলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতি, পুলিশ কর্মকর্তা ও কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারীর নিষ্ক্রিয়তাকে এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্যানেল তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। দুপুর আড়াইটায় বিরতির পর তার জেরা পুনরায় শুরু হবে।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, আবদুস সোবহান তরফদার, মঈনুল করিম ও সহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যরা।

এর আগে, ৪ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও সাক্ষী না আসায় তা পিছিয়ে আজকের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এরও আগে ১৩ ও ২১ অক্টোবর দুইবার সময় পেছানো হয়।

গ্রেপ্তার ছয় আসামি হলেন এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ।

গত ২৭ আগস্ট মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়, সূচনা বক্তব্য দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এর আগে ৬ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ফর্মাল চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়। বর্তমানে সাবেক ভিসিসহ ২৪ জন আসামি পলাতক, যাদের পক্ষে গত ২২ জুলাই সরকারি খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত