ঢাকা, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২

আজ ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর: জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস

২০২৫ নভেম্বর ০৭ ১০:৪৪:৩২

আজ ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর: জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ৭ নভেম্বর, ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহি-জনতার এক অভূতপূর্ব বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল, যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে গভীর তাৎপর্য বহন করে। ১৫ আগস্ট পরবর্তী সেনা অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের ফলে দেশে যে চরম নৈরাজ্যমূলক পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, সেই শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্তি দিয়েছিল এই বিপ্লব।

এই ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান সাময়িক বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন। বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো প্রতি বছর ৭ নভেম্বরকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। বিএনপি সরকারের আমলে এই দিনটিতে সরকারি ছুটি থাকলেও, আওয়ামী লীগ সরকার সেই ছুটি বাতিল করে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পটপরিবর্তনের পর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আরও শক্তিশালী হয় এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়, যা মানুষের মনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনে। সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান তার ‘কিছু স্মৃতি কিছু কথা’ বইয়ে উল্লেখ করেছেন যে, ৭ নভেম্বর গোটা দেশজুড়ে সৈনিক-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত উত্থান ঘটেছিল এবং জেনারেল জিয়া সেই অভ্যুত্থানের উত্তাল তরঙ্গের মাধ্যমে জাতীয় নেতৃত্বে উঠে আসেন।

তদানীন্তন দৈনিক বাংলার রিপোর্টে ৭ নভেম্বরের বিপ্লব সম্পর্কে বলা হয়, "সিপাহি ও জনতার মিলিত বিপ্লবে চার দিনের দুঃস্বপ্ন শেষ হয়েছে। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়েছেন।" রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয় যে, ৭ নভেম্বর ভোরে রেডিওতে ভেসে আসে– "আমি মেজর জেনারেল জিয়া বলছি।" জেনারেল জিয়া জাতির উদ্দেশে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। সেদিন রাজধানী ঢাকা ছিল মিছিলের নগরী, যেখানে সিপাহি-জনতা একে অপরকে আলিঙ্গন করে এবং সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্কের নলে ফুলের মালা পরিয়ে দেয়। এই আনন্দের ঢেউ রাজধানী ছাড়িয়ে দেশের সব শহর, নগর ও গ্রামে পৌঁছে যায়।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত