ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২

বাংলাদেশে গুম প্রতিরোধে ঐতিহাসিক আইন, সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড

২০২৫ নভেম্বর ০৬ ১৬:১১:৫২

বাংলাদেশে গুম প্রতিরোধে ঐতিহাসিক আইন, সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক বিফ্রিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, দীর্ঘ বিতর্কের পর গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ ২০২৫ চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। এই অধ্যাদেশে গুমকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং চলমান অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

প্রেস সচিব জানান, গোপন আটক কেন্দ্র, যা আয়নাঘর নামে পরিচিত, ব্যবহারকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে গুম সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। অধ্যাদেশে ১২০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগের বিচার সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা, ভুক্তভোগী ও সাক্ষীর অধিকার সুরক্ষা, ক্ষতিপূরণ এবং আইনগত সহায়তার বিধান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

শফিকুল আলম আরও বলেন, গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য তহবিল গঠন এবং তথ্যভাণ্ডার প্রতিষ্ঠার বিধানও সংযোজিত হয়েছে। তিনি জানান, ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকাও অনুমোদিত হয়েছে এবং জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।

প্রেস সচিব বলেন, শেখ হাসিনার সময় দেশে হাজার-হাজার মানুষ গুম হয়েছে। গুম বিষয়ে পরিচালিত কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী অভিযোগের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি এবং বাস্তবে এই সংখ্যা ৪০০-এরও বেশি হতে পারে। দেশের শতশত আয়নাঘরে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চলতো।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক কনভেনশন “International Convention for the Protection of All Persons from Enforced Disappearance” অনুযায়ী অধ্যাদেশ তৈরি করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক আইন, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার দেশে গুমের রাজত্ব চালাতে পারবে না এবং আর কোনো আয়নাঘর তৈরি হবে না।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত