ঢাকা, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২

প্রতারণা এড়িয়ে আসল স্মার্টওয়াচ কেনার টিপস

২০২৫ নভেম্বর ০২ ২২:৪৫:৫৬

প্রতারণা এড়িয়ে আসল স্মার্টওয়াচ কেনার টিপস

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: স্মার্টওয়াচ কেনার সময় অনেক ক্রেতাই না বুঝে নকল পণ্য কিনে প্রতারিত হন। তবে কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করে আসল ও নকল স্মার্টওয়াচ সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব। প্যাকেজিং, নির্মাণগত গুণমান, সফটওয়্যার, সেন্সর, ব্যাটারি, দাম ও ওয়ারেন্টি যাচাই করে এই প্রতারণা এড়ানো যায়।

স্মার্টওয়াচ এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ গ্যাজেট। কিন্তু নকল স্মার্টওয়াচ কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা অহরহ ঘটছে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে কিছু সহজ কৌশল জানা প্রয়োজন।

১. প্যাকেজিং পরীক্ষা: আসল ব্র্যান্ডের স্মার্টওয়াচের প্যাকেজিং সাধারণত শক্ত কার্টন, পরিষ্কার প্রিন্ট এবং নির্ভুল লোগো, রং ও টাইপোগ্রাফি দিয়ে তৈরি হয়। সিরিয়াল নম্বর, IMEI/ID (যদি থাকে), মডেল নম্বর এবং বারকোড স্পষ্টভাবে মুদ্রিত থাকে। বক্সের ভেতরে চার্জার, স্ট্র্যাপ, ইউজার ম্যানুয়াল ও ওয়ারেন্টি কার্ড সুসংগঠিতভাবে থাকে। নকল পণ্যে ম্যানুয়াল কাগজ পাতলা, ছাপ ঝাপসা বা অনুবাদে ভুল থাকতে পারে।

২. নির্মাণগত গুণমান:

ওজন: নকল ঘড়ি প্রায়শই হালকা (সস্তা ধাতু/প্লাস্টিকের কারণে) হয়। তবে অতিরিক্ত হালকা হলেই সন্দেহ করা উচিত।

ফিনিশিং: আসল ঘড়িতে বাটন-গ্যাপ, ক্রিস্টাল/স্ক্রিন এজ এবং স্ট্র্যাপের সেলাই নিখুঁত থাকে। কাঁচ বা বেজেলে বুদবুদ বা অসমানতা দেখলে সতর্ক হন।

স্ট্র্যাপ/ক্লাস্প: আসল ব্র্যান্ড মানসম্মত লেদার/সিলিকন/মেটাল ব্যবহার করে, যা নকল স্ট্র্যাপে চটচটে গন্ধ, দ্রুত ফেটে যাওয়া বা রং উঠে যাওয়ার মাধ্যমে চিহ্নিত করা যায়।

৩. সফটওয়্যার ও ইন্টারফেস পরীক্ষা: স্মার্টওয়াচের সফটওয়্যার আসল কিনা তা যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ। ব্র্যান্ডের অফিশিয়াল অ্যাপ ডাউনলোড করে তার নাম, ডেভেলপার এবং রেটিং পরীক্ষা করুন। নকল ঘড়ি প্রায়শই তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ ব্যবহার করে বা অ্যাপের নাম ভিন্ন থাকে। এছাড়া, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট বা অ্যাপে ফার্মওয়্যার আপডেটের সুবিধা আছে কিনা তা দেখুন; নকল ঘড়িতে এই সুবিধা অনুপস্থিত থাকে।

৪. সেন্সর ও ফিচার যাচাই: হার্টরেট, SpO2, ইসিজি, জিপিএস-এর মতো প্রচারিত ফিচারগুলো সঠিকভাবে কাজ করে কিনা তা পরীক্ষা করুন। হার্টরেটের রিডিং স্থির বসে ও হাঁটার সময় বড় ধরনের ওঠানামা করলে সন্দেহ করতে হবে। জিপিএস সঠিক অবস্থান দেখাচ্ছে কিনা এবং কল/মাইক্রোফোন ও স্পিকারের মান কেমন তা পরীক্ষা করা জরুরি। ঘড়িটি অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট/সার্ভিসে রেজিস্ট্রেশন করার চেষ্টা করে সিরিয়াল বা আইডি নথিভুক্ত হয় কিনা তা যাচাই করা যেতে পারে।

৫. ব্যাটারি ও পারফরম্যান্স: কোম্পানি যেমনটি বলেছে ব্যাটারি লাইফ বাস্তবে মিলছে কিনা তা খেয়াল করুন। নকল ঘড়ি সাধারণত ব্যাটারি ডিক্লেয়ারেশনের উপাত্ত মেনে চলে না। চার্জিং পোর্ট ও কেবল পরীক্ষা করুন। আসল চার্জার সাধারণত চৌম্বকীয় বা বিশেষ সংযোগকারী ব্যবহার করে, যা নকল ঘড়ির চার্জারে অনুপস্থিত থাকতে পারে বা অলৌকিকভাবে ধীরে চার্জ হতে পারে।

৬. দাম ও কেনার উৎস: অতিরিক্ত ছাড় বা ডিসকাউন্ট দেখে অনলাইন থেকে স্মার্টওয়াচ কেনা এড়িয়ে চলুন। অফিসিয়াল স্টোর বা অথরাইজড রিটেইলার থেকে কিনুন। অনলাইনে কিনলে বিক্রেতার রিভিউ ও রেটিং দেখুন।

৭. ওয়ারেন্টি, সাপোর্ট ও সিরিয়াল যাচাই: আসল ব্র্যান্ড সাধারণত আন্তর্জাতিক বা স্থানীয় ওয়ারেন্টি দেয়। ওয়ারেন্টি কার্ড, ইনভয়েস ও সাপোর্ট কন্টাক্ট চেক করুন। সিরিয়াল নম্বর ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইটে যাচাই করে দেখা যেতে পারে, অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবপেজে "সিরিয়াল ভেরিফাই" ফিচার রাখে।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত