ওষুধ খাতের ৫ কোম্পানিতে ডিভিডেন্ড বেড়েছে

হাসান মাহমুদ ফারাবী: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩৪টি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ জুন, ২০২৫ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৯টি কোম্পানি ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী আলোচ্য সময়ে ডিভিডেন্ড বেড়েছে ৫ কোম্পানির। একই সময়ে ডিভিডেন্ড কমেছে ৮ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬ কোম্পানির। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিভিডেন্ড বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলো হলো- এসিআই ফর্মুলেশন, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, দ্যা ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, কহিনুর কেমিক্যাল এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।

এসিআই ফর্মুলেশনস :

কোম্পানিটি ৩০ জুন, ২০২৫ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ২৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর আগের বছর ২০২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

৩০ জুন, ২০২৫ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৮৫ পয়সা, আগের অর্থবছর ইপিএস হয়েছিল ৬ টাকা ৮৮ পয়সা।

অর্থবছর শেষে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ (ক্যাশ ফ্লো) দাঁড়িয়েছে ৬৬ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১৪ টাকা ৭৮ পয়সা।

সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭৫ টাকা ৫১ পয়সা।

বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস :

কোম্পানিটি ৩০ জুন, ২০২৫ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ২১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ২০২৪ সালে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

৩০ জুন, ২০২৫ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সা, আগের বছর একই সময় যা ছিল ২ টাকা ২৬ পয়সা।

আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ (ক্যাশ ফ্লো) দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৯৩ পয়সা, যা আগের বছর ছিল মাইনাস ৭৮ পয়সা।

সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৮৬ পয়সা।

দ্যা ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ :

কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৬৪ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ২০২৪ সালে ৬৩ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদান করেছিল।

৩০ জুন, ২০২৫ সমাপ্ত অর্থবছরে ইবনে সিনা ফার্মার সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ২৭ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ২১ টাকা ৪৬ পয়সা, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয়ে সামান্য কমতি দেখা গেছে।

অন্যদিকে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ১৬ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১২ টাকা ৪৮ পয়সা। অর্থাৎ নগদ প্রবাহে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।

আলোচ্য সময়ে ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১২৫ টাকা ৬৯ পয়সায়। যা আগের বছর ছিল ১১১ টাকা ৯৪ পয়সা।

কহিনুর কেমিক্যাল :

৩০ জুন, ২০২৫ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৬৫ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর আগের বছর ২০২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি ৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ১৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

৩০ জুন, ২০২৫ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫ পয়সা, আগের অর্থবছরের একই সময় যা ছিল ১৩ টাকা ৭৪ পয়সা।

৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৫ টাকা ১৬ পয়সা।

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস :

৩০ জুন, ২০২৫ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর আগের বছর ২০২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি ১১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

৩০ জুন, ২০২৫ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৪ পয়সা, আগের অর্থবছরের একই সময় যা ছিল ২৩ টাকা ৬১ পয়সা।

আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ (ক্যাশ ফ্লো) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৫২ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২০ টাকা ৯০ পয়সা।

৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫৭ টাকা ৮৮ পয়সা।