ঢাকা, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২

“সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমবায় খাতের অবদান অনস্বীকার্য”

২০২৫ নভেম্বর ০১ ২০:১৩:০৬

“সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমবায় খাতের অবদান অনস্বীকার্য”

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমবায় খাতের অবদান অনস্বীকার্য বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। তিনি বলেন, সমবায়ের সদস্যদের পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসই সংগঠনের মূল শক্তি; আস্থা ছাড়া কোনো সংগঠন টিকে থাকতে পারে না।

শনিবার চট্টগ্রাম শিশু একাডেমিতে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে সমবায় বিভাগ চট্টগ্রাম আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফারুক-ই-আজম বলেন, বাংলাদেশের সমবায়ের ইতিহাস ১৯৯৪ সালে নয়, বরং ১৯০৯ সালে যশোরের পাইকগাছায় কো-অপারেটিভ সোশ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু হয়। তিনি সদস্যদের ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানান।

তরুণ ও নারীদের সম্পৃক্ততার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিকে স্থানীয় পর্যায়ে শক্তিশালী করতে এই দুই শ্রেণির সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। বাংলাদেশের বড় অংশ তরুণ জনগোষ্ঠী হওয়ায় সমবায়ের মাধ্যমে তাদের ইতিবাচক ভূমিকা রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “জুলাইয়ের পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা যেমন আন্দোলনে প্রকাশ পেয়েছে, সমবায় আন্দোলনের মাধ্যমে সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে।” নারীদের সম্পৃক্ততার ওপর জোর দিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, নারীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।

তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তি সহজেই সমবায়ে যুক্ত হতে পারেন। উৎপাদন, বিপণন ও আত্মনির্ভরশীলতার মাধ্যমে অনলাইনভিত্তিক সমবায় আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিতে হবে।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত