ঢাকা, শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
শিক্ষকরা রাজনীতিতে না জড়ালে ছাত্রদের হানাহানির সুযোগ কম : গয়েশ্বর

ডুয়া নিউজ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমি দর্শনের ছাত্র কিন্তু দর্শন সম্পর্কে এখন কোনো ধারণা নেই। কারণ আমি এই পেশায় নেই। যারা দর্শনের ছাত্র ছিলেন, যারা এখন শিক্ষকতা করছেন তারা দর্শন লালন করছেন। তারা নতুন নতুন ছাত্রদের মধ্যে অঙ্গুর তৈরি করছেন।
তিনি বলেন, আজ আমরা সবাই এখানে একত্রিত হতে পারি নাই। সবাই যদি একত্রিত হতে পারতাম তাহলে আজকে এই কক্ষে সবার স্থান হতো না। সবাই না আসতে পারলেও কিছু মানুষের সাথে তো দেখা হলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্রতা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের পড়ালেখার আগ্রহ তৈরির ক্ষেত্রে অনেক বছর যাবত রাজনীতিটা একটা বড় বাধা। শিক্ষকরা যদি রাজনীতিতে না জড়ায় তাহলে ছাত্রদের এই রাজনীতিতে হানাহানি করার সুযোগ কম। এ কথাটা কর্তৃপক্ষের মনে রাখা ভালো।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (ডুপডা) আয়োজিত ১৫তম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমি বাংলাদেশটার ভালো চাই। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। এটা যেমন আমাকে গর্বিত করে, আবার যখন খবর পাই ছাত্ররা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সুযোগ পায় না, আমি তখন কষ্ট পাই। আমার সন্তানতুল্য যে বোনরা আছে তারা যখন নানাভাবে নির্ভৃত হয়, এটা আমাকে ব্যথিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখার পরিবেশ এবং সকলে একসাথে থাকা এবং একসাথে থাকা তো প্রতিযোগিতা। বিনা প্রতিযোগিতা তো কেউ কাউকে শ্রেষ্ঠ করতে পারবে না বরং নিজেকে নিকৃষ্ট করতে পারবে। সুতারাং এই যে নিকৃষ্ট কতোগুলো ইতিহাস সৃষ্টি, এই সৃষ্টিগুলো মুছে যাক, ধুয়ে যাক।
আমরা সবাই একসঙ্গে থাকবো, প্রতিযোগিতা করবো, মেধা দিয়ে, মননশীলতা দিয়ে, আমি সকলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হবো। এই আকাঙ্খাবোধ যদি না থাকে, এই প্রতিশ্রুতি যদি না থাকে তাহলে কোনো মানুষই কিন্তু সফল মানুষের মধ্যে একজন হতে পারে না।
শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ছাত্রদেরকে আপনারা পারেন। আপনারা পেশাগত ভালো জন্য আপনারা যদি যান তবে ছাত্ররা অসহায় হয়ে পড়ে। আর আপনার যদি অভিভাবকের মতো সকল ছাত্রকে একই ছাতার তলে ধরে রাখতে চান তাহলে আপনারই পারেন সকলকে একসাথে একই ক্লাসে পড়াতে।
তখন ৬০ এর দশকের শেষের দিক ছিল। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম। আন্দোলন, সংগ্রামের একটা তীর্থস্থান। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা মত ছিল, নানা পথের লোক ছিল, নানান দল ছিল এখনকার মতো মারামারি হানাহানি হয় নাই। হয়েছে মেধাগত প্রতিযোগিতা। যার যার বক্তব্য তুলে ধারা আবার মধুর ক্যান্টিনে পরস্পর বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দ একসাথে চা খাওয়া, সিঙ্গারা খাওয়া, মধুদার সেই চপ খাওয়া। আমরা আজকে সবাইকে সেই জায়গাটায় দেখতে চাই। আমরা চাই সবাই একই সাথে থাকবো, যারযার মত নিয়ে। একই সাথে প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে, যারযার মতকে প্রতিষ্ঠিত করতে, গায়ের জোরে নয়, অস্ত্রের জোরে নয় অথবা ক্ষমতার বলে নয়। সেই পরিবেশটা আমাদের ছাত্র-শিক্ষক সবার করা উচিৎ।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু এবং সদস্য সচিব এটিএম আবদুল বারী ড্যানি। এছাড়া অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালদ দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েমনের সভাপতি অধ্যাপক সুলতানা মুনীরা জাহান।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- এক বহুজাতিকের ধাক্কায়ই কেঁপে উঠল শেয়ারবাজার
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৬৫ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- সাত কোম্পানিতে বিনিয়োগ বেড়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ঢাবির হলে ধূমপায়ীদের সিট না দেওয়ার ঘোষণা; প্রশংসায় ভাসছেন প্রভোস্ট
- ইপিএস প্রকাশ করার তারিখ জানাল ১৫ প্রতিষ্ঠান
- স্টক ডিভিডেন্ড পেল ৩ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- ডিএনসিসির শিক্ষাবৃত্তি পাবে ২ হাজার শিক্ষার্থী
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ৫২ সপ্তাহে সর্বোচ্চ উচ্চতায় শেয়ারবাজারের ৯ কোম্পানি