ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২
যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরণের বৈদেশিক সহায়তা বন্ধ করল ট্রাম্প

ডুয়া ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর শপথ গ্রহণের পর একের পক এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে চলেছেন। এমনিই এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে আগামী ৯০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি বন্ধ করার ঘোষণা দেন।
তবে বৈদেশিক সহায়তা বন্ধের এই আদেশ মার্কিন তহবিলের ওপর কী প্রভাব ফেলবে তা স্পষ্ট নয়, কারণ অনেক কর্মসূচি ইতোমধ্যে কংগ্রেসে তহবিল বরাদ্দ পেয়েছে এবং সেগুলি ইতোমধ্যে বিতরণ বা ব্যয় করা হয়ে থাকতে পারে।
স্থানীয় সময় সোমবার মার্কিন ক্যাপিটল ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প একাধিক নির্বাহী আদেশে সই করেন। এর মধ্যে মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, পানামা খাল ফেরত এবং বিদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি সহ একাধিক পদক্ষেপ ছিল।
বৈদেশিক সহায়তা সংক্রান্ত নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে ট্রাম্প বলেন, মার্কিন আমলাতন্ত্র এবং বৈদেশিক সহায়তা শিল্প প্রায়ই আমেরিকার স্বার্থ এবং মূল্যবোধের বিরুদ্ধে কাজ করে। তিনি এই ধরনের কর্মসূচিগুলোকে বিশ্ব শান্তির জন্য অস্থিতিশীল উল্লেখ করে বলেন, এটি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সম্পর্কের ক্ষেত্রেও বিরোধ সৃষ্টি করে।
ট্রাম্প আরও ঘোষণা করেন যে, যদি কোনো বৈদেশিক সহায়তা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির উদ্দেশ্যগুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না থাকে, তবে যুক্তরাষ্ট্র সেই সহায়তা প্রদান করবে না। তবে, গত সপ্তাহে সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটিতে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বৈদেশিক সহায়তার ন্যায্যতা নির্ধারণের জন্য তিনটি মূল প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন: ১. এই সহায়তা কি আমেরিকাকে নিরাপদ করে তোলে? ২. এটি কি আমেরিকাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে? ৩. এটি কি আমেরিকাকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে?
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বাজেটের প্রায় এক শতাংশ বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচিতে ব্যয় হয়। ট্রাম্প ইতোমধ্যে বিদেশি সহায়তার সমালোচনা করে আসছেন। যদিও রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখযোগ্য সামরিক সহায়তা প্রদান করছে, তবে ট্রাম্প এই সহায়তার পরিমাণ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বাইডেন প্রশাসনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত, ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলে দুর্যোগ ত্রাণ, স্বাস্থ্য এবং গণতন্ত্রপন্থী উদ্যোগে ৬৮ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক সহায়তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রধান সহায়তা প্রাপক দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসরায়েল (বার্ষিক ৩.৩ বিলিয়ন ডলার), মিসর (বার্ষিক ১.৫ বিলিয়ন ডলার), এবং জর্ডান (বার্ষিক ১.৭ বিলিয়ন ডলার)। এই দেশগুলোর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি থাকায়, এই সহায়তায় ব্যাপক কাটছাঁটের সম্ভাবনা কম।
সূত্র: এপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ