ঢাকা, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২

ট্রন ফ্র্যাঞ্চাইজির রোমাঞ্চকর রিবুট‘ অ্যারেস’ আসছে বড় পর্দায়

২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১৮:০৭:৪৫

ট্রন ফ্র্যাঞ্চাইজির রোমাঞ্চকর রিবুট‘ অ্যারেস’ আসছে বড় পর্দায়

ডুয়া বিনোদন ডেস্ক :১৭ অক্টোবর স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে হলিউডের নতুন সায়েন্স ফিকশন অ্যাকশন ছবি ‘ট্রন : অ্যারেস’। এটি ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ট্রন : লিগ্যাসি’-এর সিক্যুয়াল এবং ট্রন সিরিজের তৃতীয় কিস্তি। জোয়াকিম রনিং পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন জ্যারেড লেটো, গ্রেটা লি, ইভান পিটার্স, জোডি টার্নার-স্মিথ, হাসান মিনহাজ, আর্তুরো কাস্ত্রো, গিলিয়ান অ্যান্ডারসনসহ আরও অনেকে।

ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্মাতা স্টিভেন লিসবার্গার ২০১০ সালের অক্টোবরেই ‘ট্রন : লিগ্যাসি’–এর সিক্যুয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ২০১৭ সালে জানা যায়, ফ্র্যাঞ্চাইজিটি লিগ্যাসি সিক্যুয়ালের পরিবর্তে সফট রিবুটের দিকে এগোবে, যেখানে জ্যারেড লেটো অভিনীত নতুন চরিত্র অ্যারেসকে কেন্দ্র করে গল্প তৈরি হবে। অ্যারেস চরিত্রটি মূলত ‘অ্যাসেনশন স্ক্রিপ্ট’-এর একটি পূর্ববর্তী সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে।

চিত্রনাট্য ও প্রযোজনা ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে। ২০২০ সালে উইগুটো স্ক্রিপ্ট কাজ করছিলেন, গার্থ ডেভিস পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হন, তবে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেন। এক মাস পর জোয়াকিম রনিং তার স্থলাভিষিক্ত হন। প্রযোজনা ২০২৩ সালের আগস্টে শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকার ধর্মঘটের কারণে বিলম্ব হয়। অবশেষে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ভ্যাঙ্কুভারে চিত্রগ্রহণ শুরু হয় এবং মে মাসে শেষ হয়।

ডিজনি এই ৪৫ বছরের পুরোনো সাই-ফাই সিরিজটিকে নতুনভাবে রিবুট করতে চায়। ছবিতে আধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মানব নৈতিকতা এবং প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নগুলোকে তুলে ধরা হয়েছে। গল্পের কেন্দ্রবিন্দু অ্যারেস—একটি অত্যন্ত উন্নত ‘প্রোগ্রাম’, যাকে ভার্চুয়াল জগত ‘গ্রিড’ থেকে বাস্তব জগতে পাঠানো হয়। তার মিশন মানবজাতির সঙ্গে প্রথম সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা, কিন্তু এটি শান্তিপূর্ণভাবে হয় না।

বিজ্ঞানীরা একটি এআই সত্তা তৈরি করেন, যা মানব বুদ্ধিমত্তার বাইরে উন্নত ক্ষমতা রাখে। অ্যারেস কাজ করে মানব ও প্রোগ্রাম দুই জগতের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে। কিন্তু বাস্তব জগতে এসে সে দেখে মানুষরা তাকে ভয় পায় এবং ধ্বংস করতে চায়। ফলে অ্যারেস দ্বিধায় পড়ে—মানবতার পক্ষে লড়বে, নাকি নিজের প্রজাতির স্বাধীনতা রক্ষা করবে। এই দ্বন্দ্বই ছবির মূল দর্শন, যেখানে মানবতা বনাম কৃত্রিম জীবন-এর দ্বন্দ্বকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

ডুয়া/নয়ন

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত