ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২
কেন বাংলাদেশে ব্যবসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল 'প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল'?

নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল (পিঅ্যান্ডজি) বাংলাদেশে তাদের দীর্ঘ তিন দশকের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্থাটির চলমান দুই বছরের বৈশ্বিক পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেখানে বিশ্বব্যাপী ৭ হাজার অনুৎপাদন কর্মী ছাঁটাই করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
১৮৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং বিশ্বের অন্যতম ফাস্ট-মুভিং কনজিউমার গুডস (এফএমসিজি) উৎপাদক এই কোম্পানি ১৯৯৪ সাল থেকে বাংলাদেশে ব্যবসা করে আসছে। এমনকি প্রাণ গ্রুপের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগে হবিগঞ্জের অলিপুরে একটি জিলেট রেজর উৎপাদন কারখানা স্থাপন করেছিল। তবে এবার শুধু বাংলাদেশেই নয়, পাকিস্তানেও তারা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ করছে। স্থানীয় বাজারে পণ্য সরবরাহ বজায় রাখতে তারা তৃতীয় পক্ষের পরিবেশকদের ওপর নির্ভর করবে।
বাংলাদেশ থেকে পিঅ্যান্ডজি-এর ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে গত বছরের সেপ্টেম্বরে জিলেট ইন্ডিয়ার সঙ্গে পরিবেশক চুক্তি বাতিলের ঘোষণা আসে, যা গত ৩১ ডিসেম্বর কার্যকর হয়েছে। এরপর বাংলাদেশের স্থানীয় পরিবেশক প্রতিষ্ঠান এমজিএইচ গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ব্র্যান্ডস লিমিটেডের (আইবিএল) সঙ্গেও চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। আইবিএল চাইলে নিজ উদ্যোগে বিদেশ থেকে পিঅ্যান্ডজি-এর পণ্য আমদানি করে বাজারে বিক্রি করতে পারবে। এমজিএইচ গ্রুপের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরিবেশক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি বাতিলের প্রভাব এরই মধ্যে বাজারে পড়তে শুরু করেছে। পিঅ্যান্ডজি পণ্যের মজুদ কমছে এবং নতুন করে সরবরাহ আসছে না। সুপারশপ ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোতে রেজর ও স্যানিটারি প্যাডের মতো পণ্যের মজুদ শেষের পথে।
প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা জানিয়েছেন, পিঅ্যান্ডজি জানুয়ারি থেকে তাদের কারখানায় উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। প্রতিষ্ঠানটি যখন অনুমতি দেবে, তখন তারা উৎপাদন শুরু করবে।
পিঅ্যান্ডজি-এর এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এসেছে যখন তাদের ২০২৪ অর্থবছরের অর্গানিক বিক্রয় বৃদ্ধি সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। বৈশ্বিকভাবে বিক্রয় প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং উদীয়মান বাজারগুলোতে মাত্র ১% প্রবৃদ্ধি অর্জনের কারণে পিঅ্যান্ডজি আন্তর্জাতিক বাজারে দুর্বল পারফরম্যান্স এবং ব্যয় সংকোচনের কৌশলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এর আগে ২০২৩ সালেও তারা আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়া থেকে তাদের সম্পূর্ণ কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছিল।
এসপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে শেয়ারবাজারের ৮ কোম্পানি
- বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- শেয়ারবাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিএসইসি চেয়ারম্যানের যুগান্তকারী ঘোষণা
- ‘জেড’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- আফগানিস্তান বনাম বাংলাদেশ, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- নয় কোম্পানির শেয়ারে মুভিং এভারেজ,ম্যাকডি, এঙ্গালফিং বাই সিগনাল
- ডুবছে ওষুধের দুই কোম্পানি, বিনিয়োকারীদের কপালে চিন্তার ভাজ
- RSI এলার্ট: ১০ শেয়ারে বিপদ সংকেত
- সাত কোম্পানির শেয়ারে কারসাজির গন্ধ!
- উৎপাদন বন্ধ চার কোম্পানির শেয়ার নিয়ে সতর্কতা জারি
- জেডে নেমে তিন শেয়ারের ধস, বিনিয়োগকারীদের নিঃস্ব হওয়ার শঙ্কা
- মশিউর সিকিউরিটিজের গ্রাহকদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে ২ কোম্পানি
- ঢাবি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে জাপান, আবেদন করবেন যেভাবে