ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২
ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি অনুমোদন

ডুয়া নিউজ: ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে, যা আগামী রোববার থেকে কার্যকর হবে।
কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো বুধবার ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে এক চুক্তিতে পৌঁছানোর ঘোষণা দেওয়ার দুদিন পর শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রাজনৈতিক, নিরাপত্তা এবং মানবিক দিকগুলো পর্যালোচনা করার পর, যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে চুক্তিটি সহায়ক হবে বলে এটি অনুমোদন করা হয়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করতে শুক্রবার ইসরায়েলের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসবে। নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ইতোমধ্যেই চুক্তির পক্ষে রায় দিয়েছে, এবং ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ণ মন্ত্রিসভাও এতে সম্মতি দেবে, যা চুক্তি বাস্তবায়নের পথ সুগম করবে।
শুক্রবার নেতানিয়াহুর অফিস এক্সে দেওয়া পোস্টে জানায়, যদি চুক্তিটি চূড়ান্তভাবে ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদন পায়, তবে রবিবার হামাস প্রথমে বন্দিদের মুক্তি দেবে।
বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং প্রধান মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিশর ১৫ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধ বন্ধে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ঘোষণা দিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ এই চুক্তিকে 'সঠিক পদক্ষেপ' হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে দ্রুত এটি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, চুক্তি নিয়ে এখনও কিছু বিষয় অমীমাংসিত রয়েছে, যা মন্ত্রিসভার বৈঠকে নির্ধারণ করা হবে। এসব সমস্যার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে, চুক্তির বিরোধিতা করে অতি-ডানপন্থী মন্ত্রীরা আপত্তি জানিয়েছেন এবং একজন মন্ত্রী এ চুক্তি অনুমোদিত হলে পদত্যাগ করার হুমকিও দিয়েছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আশা প্রকাশ করেছেন, চুক্তি কার্যকর হলে রবিবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। চুক্তির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা রয়েছে, এর মধ্যে গাজায় আটক ৩৩ জন জিম্মি এবং ইসরায়েলে বন্দি শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
পাশাপাশি, আংশিকভাবে গাজার থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে এবং অবরুদ্ধ অঞ্চলে মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি করা হবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের সংঘাতের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে চুক্তিটি করা হয়েছে, যেখানে হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে আকস্মিক আক্রমণ চালাতে গেলে প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়।
এর জবাবে ইসরায়েল গাজায় বড় আকারের সামরিক অভিযান শুরু করে, যা গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু ঘটিয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- শেয়ার কারসাজিতে শ্যালক–দুলাভাইর দেড় কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রসারিত হচ্ছে টেকসই বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর
- উৎপাদন বাড়াতে নতুন যন্ত্রপাতিতে বিনিয়োগ করছে দুই কোম্পানি