ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২

উত্তরাঞ্চলে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক: মাংস থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমণ      

২০২৫ অক্টোবর ০২ ১৫:৩৮:১৯








উত্তরাঞ্চলে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক: মাংস থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমণ




 
 



 

নিজস্ব প্রতিবেদক :দেশের উত্তরাঞ্চলে অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগ নতুন আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত গবাদি পশুর দেহে হওয়া এই রোগ বর্তমানে মানুষের শরীরেও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। নতুন করে আটজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু পাওয়া গেছে। এছাড়া ওই এলাকার কিছু ফ্রিজে রাখা মাংসেও মিলেছে জীবাণু। অ্যানথ্রাক্স ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস ব্যাকটেরিয়ার কারণে শরীরে বাসা বাঁধে এবং এটি তীব্র সংক্রামক।

রোগটি তিনভাবে মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে—ত্বকের ক্ষতের মাধ্যমে, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এবং অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত পশুর মাংস খাওয়ার মাধ্যমে। সাধারণ হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এটি ছড়ায় না। সংক্রমণ হলে উপসর্গ ভিন্ন হয়। মাংস খেলে বমিভাব, পেটব্যথা, মাথাব্যথা, জ্বর, রক্তমিশ্রিত পায়খানা দেখা দিতে পারে। শ্বাসের মাধ্যমে সংক্রমণে গলা ব্যথা, জ্বর, ক্লান্তি, বুকে অস্বস্তি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। ত্বকে সংক্রমণ হলে ক্ষত ফুলে কালো হয়ে যায় এবং জ্বর দেখা দেয়।

অ্যানথ্রাক্সের চিকিৎসা জন্য দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক ও টিকার মাধ্যমে রোগের প্রতিকার সম্ভব। সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজন—কাঁচা বা অর্ধসিদ্ধ মাংস না খাওয়া, ত্বকে কাটাছেঁড়া থাকলে কাঁচা মাংস স্পর্শ না করা, গ্লাভস ব্যবহার করা, অসুস্থ পশুর মাংস না খাওয়া এবং গবাদিপশুকে নিয়মিত টিকা দেওয়া। এছাড়া মৃত পশু সঠিকভাবে মাটি চাপা দিয়ে ধ্বংস করতে হবে।

জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সঠিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিলে অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বাড়িতে ও গবাদি পশুর সঙ্গে সংযুক্ত মানুষদের সঠিক পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য।

ডুয়া/নয়ন

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত