ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২
সিনেমা ছেড়ে যেভাবে রাজনীতির মঞ্চে থালাপতি বিজয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে বরাবরই সিনেমা ও গণআন্দোলনের গভীর সংযোগ দেখা গেছে। এম.জি. রামচন্দ্রন (এমজিআর), জে. জয়ললিতা কিংবা করুণানিধি মুথুবেলের মতো কিংবদন্তি নেতারা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েই রাজনীতিতে উত্থান ঘটিয়েছিলেন। এই দীর্ঘ ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে আলোচিত এবং সম্ভাবনাময় নাম হলেন সুপারস্টার থালাপতি বিজয়।
অভিনয়ে বিজয়ের হাতেখড়ি হয় মাত্র দশ বছর বয়সে, ১৯৮৪ সালে 'ভেত্রি' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এরপর তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে রজনীকান্তের সঙ্গেও পর্দা ভাগ করে নেন। ১৮ বছর বয়সে 'নালাইয়া থির্পু' (১৯৯২) ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০০৩ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে তিনি নিজেকে তামিল চলচ্চিত্রের প্রধান নায়ক হিসেবে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করেন। ধীরে ধীরে তিনি আকাশছোঁয়া তারকাখ্যাতি পান এবং ভারতের প্রথম অভিনেতা হিসেবে একটি ছবির জন্য ২০০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন বলে জানা যায়। তার পারিশ্রমিক শাহরুখ খান, সালমান খান, প্রভাসসহ অনেক শীর্ষ অভিনেতাকে ছাড়িয়ে গেছে।
চলচ্চিত্রে অভূতপূর্ব সাফল্যের পর, বিজয় তার তিন দশকের অভিনয় জীবনের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেন। তার শেষ সিনেমা হবে 'জনা নায়াগন', যা ২০২৬ সালের পোঙ্গল উৎসবে মুক্তি পাবে।
তার বিপুল জনপ্রিয়তা, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে সামাজিক বার্তা বহনকারী সিনেমার কারণে তিনি কেবল একজন নায়ক নন, বরং এক রোল মডেলে পরিণত হয়েছেন। এই বিশাল ভক্তগোষ্ঠী 'বিজয় ভক্তসেনা' নামে পরিচিত এবং তারা বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে সক্রিয় থাকে।
২০২৪ সালের শুরুতে বিজয় পূর্ণাঙ্গ রাজনীতিতে প্রবেশের ঘোষণা দেন এবং 'তামিলাগা ভেত্রি কাজাগাম (টিভিকে)' নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। তার দলের মূল এজেন্ডা হলো দুর্নীতিমুক্ত শাসনব্যবস্থা, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। বিজয়ের রাজনৈতিক দর্শন প্রচলিত রাজনীতির বাইরে গিয়ে নতুন ধারা তৈরি করার দিকে ইঙ্গিত করে। তিনি শিক্ষার পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন ও তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর জোর দিয়েছেন।
যদিও বিজয়ের জনপ্রিয়তা ব্যাপক, তবুও তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে গভীর শিকড়যুক্ত ডিএমকে ও এআইএডিএমকে-এর মতো শক্তিশালী দলীয় কাঠামো তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তবে বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে চলা দুর্নীতি ও বেকারত্ব নিয়ে জনগণের অসন্তোষের মধ্যে বিজয়ের আগমন বিকল্প নেতৃত্বের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। যদি তিনি তার ভক্তভিত্তিকে রাজনৈতিক শক্তিতে রূপ দিতে পারেন এবং নীতিনির্ভর রাজনীতিকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হন, তবে তিনি আগামী এক দশকে তামিলনাড়ুর রাজনীতির অন্যতম প্রধান খেলোয়াড় হয়ে উঠতে পারেন।
এসপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান,সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- নতুন দিগন্তে বেক্সিমকো, শেয়ারবাজারে আশার আলো
- দুই বছরের ডিভিডেন্ড পেল তালিকাভুক্ত কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে শেয়ারবাজারের ৮ কোম্পানি
- বিএসইসি-ডিএসই’র নাকের ডগায় লোকসানি শেয়ার নিয়ে কারসাজি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৬ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইবনে সিনা ফার্মা
- চূড়ান্ত অনুমোদনের পথে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- দু্ই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ১৪ প্রতিষ্ঠান রদবদলে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা অন্ধকারে, বাড়ছে আতঙ্ক
- শেয়ারবাজার নিয়ে অর্থনীতির দুই শীর্ষ নেতার কড়া সমালোচনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- উদ্যোক্তা পরিচালকদের বিনিয়োগ বেড়েছে ৪ কোম্পানিতে
- মুনাফা কমেছে জুতাশিল্পের দুই জায়ান্টের
- আর্থিক চাপ কাটাতে ভবন বিক্রি করছে শেয়ারবাজারের দুই প্রতিষ্ঠান