ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২

শিল্পখাতে ৯০ শতাংশ এসএমই হলেও ঋণ ও কঠিন শর্তে পিছিয়ে: ডিসিসিআই

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ১৯:২২:০৮

শিল্পখাতে ৯০ শতাংশ এসএমই হলেও ঋণ ও কঠিন শর্তে পিছিয়ে: ডিসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প (সিএমএসএমই) খাত দেশের শিল্প কাঠামোর প্রায় ৯০ শতাংশ দখল করে রাখলেও, ঋণ সহায়তার সীমাবদ্ধতা, দক্ষ জনবল সংকট, প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে থাকা, সমন্বয়হীনতা এবং কঠোর শর্তাবলি এই খাতের অগ্রগতিকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে। এমন মন্তব্য করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ডিসিসিআই মিলনায়তনে আয়োজিত সিএমএসএমই খাতের ব্র্যান্ডিং ও বিপণন চ্যালেঞ্জ রপ্তানির সম্ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভায় এই বক্তব্য উঠে আসে।

ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ মূল প্রবন্ধে জানান, দেশে প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ মানুষ এই খাতে কর্মরত। জিডিপিতে অবদান ২৮ শতাংশ হলেও শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় সিএমএসএমই খাতের অবদান প্রায় ৫০ শতাংশ। তিনি সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অতিরিক্ত শুল্কারোপের কারণে বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। তাই উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং খরচ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা ধরে রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, বৈশ্বিক ব্র্যান্ড তৈরি করতে না পারায় দেশের রপ্তানি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছাচ্ছে না। মানসম্মত উৎপাদন, মেধাস্বত্ব রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে আস্থা তৈরির বিষয়টিতে তিনি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ।

বিসিক চেয়ারম্যান জানান, উদ্যোক্তাদের জন্য শিল্পপার্ক, প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি আকর্ষণীয় প্যাকেজিং এবং আন্তর্জাতিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পণ্যের অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো জরুরি। অন্যদিকে, ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, শিগগিরই রপ্তানি ইকো-সিস্টেম ও সিএমএসএমই হেল্প ডেস্ক চালু হবে। তার মতে, দেশের ইতিবাচক ব্র্যান্ডিংয়ের পাশাপাশি ভোক্তাদের রুচি ও চাহিদার দিকেও নজর দেওয়া জরুরি।

আলোচনায় আরও অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, বিপিজিএমইএ সভাপতি শামীম আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. রাজ্জাকুল ইসলাম, ক্রিয়েশন লিমিটেডের এমডি মো. রাশেদুল করিম মুন্না, বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম পিন্টু এবং হাত বাক্স-এর প্রধান নির্বাহী মো. শাফাত কাদের।

বক্তারা বলেন, সিএমএসএমই খাতের উন্নয়নে পণ্যের সনদ ও কমপ্লায়েন্স সার্টিফিকেশন, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহার, সরকার–বেসরকারি সমন্বয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ক্লাস্টার উন্নয়ন অপরিহার্য। বিশেষ করে ব্র্যান্ডিং জোরদার করলেই এ খাত বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান তৈরি করতে পারবে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত