ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ আশ্বিন ১৪৩২

ইসিতে নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরামের ৬ দাবি

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ০০:১৭:৪০

ইসিতে নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরামের ৬ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী আইন সংস্কারে ছয় দফা দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাথে বৈঠক করেছে নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ফোরামের অন্যতম প্রধান দাবি হলো, রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নারী প্রার্থীদের বাধ্যতামূলক মনোনয়ন নিশ্চিত করা।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য মাহীন সুলতানের নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নারী পক্ষের নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাদাফ সায, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত এবং নারী সংহতির সভাপ্রধান শ্যামলী শীল। ইসির পক্ষে চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

ফোরামের মূল দাবিগুলো হলো:

নারী প্রার্থীর বাধ্যতামূলক মনোনয়ন।

দলীয় কাঠামোতে নারীর নেতৃত্ব বৃদ্ধি।

নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যয়ের সমপরিমাণ অর্থ মঞ্জুর।

অনলাইন ও অফলাইনে নারী হয়রানি প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট নীতি ও নির্দেশনা প্রণয়ন।

সংসদে সংরক্ষিত আসনে সরাসরি নির্বাচন।

সব আসনে 'না' ভোটের বিধান রাখা।

বৈঠক শেষে মাহীন সুলতান সাংবাদিকদের জানান যে আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। তিনি বলেন, নারী ভোটার, নারী প্রার্থী এবং নারী নাগরিকদের সমান মর্যাদা নিশ্চিতকরণে তাদের দাবি ও প্রত্যাশা ইসির কাছে তুলে ধরা হয়েছে এবং কমিশনও এ বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়নে বাধ্যবাধকতা আরোপের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বৈঠকে উত্থাপন করা হয়। মাহীন সুলতান বলেন, তারা চান নির্বাচনে যথাযথ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে সব দল থেকে ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হোক। ইসি জানিয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্বের বিধানটি ইতোমধ্যেই যুক্ত রাখা হয়েছে। ফোরামের পক্ষ থেকে আগামীতে নারী নেতৃত্ব বাড়াতে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ইসি আরও জানিয়েছে, আচরণবিধিতে নারী প্রার্থী বা ভোটারের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং নারী প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয়রানি, বিশেষ করে সাইবার সহিংসতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরামে ক্ষুব্ধ নারী সমাজ, গণসাক্ষরতা অভিযান, দুর্বার নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন, নাগরিক কোয়ালিশন, নারী উদ্যোগ কেন্দ্র (নউক), নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা, নারী সংহতি, নারী পক্ষ, নারীর ডাকে রাজনীতি, ফেমিনিস্ট অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ (ফ্যাব), বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র ও ভয়েস ফর রিফর্ম সহ বিভিন্ন সংগঠন যুক্ত রয়েছে। ফোরামের নেতারা মনে করেন, তাদের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়িত হলে নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এবং নারীর প্রতি সমান মর্যাদা নিশ্চিত হবে।

এসপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন, দায় কার?

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন, দায় কার?

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি স্বীকার করেন,... বিস্তারিত