ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২

ঝালকাঠির বিস্ময় বালক : ৯ বছর বয়সেই কোরআনের হাফেজ

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১৩:৩৬:৫৩

ঝালকাঠির বিস্ময় বালক : ৯ বছর বয়সেই কোরআনের হাফেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক :মাত্র ১১ মাসে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করে বিস্ময়কর কীর্তি গড়েছে ৯ বছর বয়সী শিশু মো: শিহাব মাহমুদ। তার এই অসাধারণ অর্জনে খুশিতে উদ্বেলিত পরিবারের সদস্যরা ও মাদরাসার শিক্ষকরা।

হাফেজ শিহাব সাংবাদিক মো: শহীদুল ইসলাম ও শিক্ষিকা মোসা: মাহমুদা আক্তার দম্পতির একমাত্র ছেলে। তাদের স্থায়ী ঠিকানা বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বৌলপুর গ্রামে। ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া শিহাব ছোটবেলা থেকেই ইসলামি শিক্ষার প্রতি আগ্রহী ছিল। বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে তাকে ভর্তি করানো হয় ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া সদরের কায়েদাবাদ হাফিজুর রহমান তাহফিজুল কোরআন মাদরাসার হেফজ বিভাগে।

নাজেরা বিভাগে মাত্র ৯ মাস পড়াশোনা শেষ করার পর হেফজ বিভাগে ছবক শুরু করে শিহাব। এরপর একনাগাড়ে পরিশ্রম করে মাত্র ১১ মাসেই পবিত্র কোরআনের ৩০ পারা হিফজ সম্পন্ন করে সে। কোরআন হিফজের এই সাফল্যে শিহাব জানায়, “আলহামদুলিল্লাহ! অল্প সময়ে হাফেজ হতে পেরে আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমার ওস্তাদরা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করেছেন। ওস্তাদদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম অনেক কঠিন হবে, কিন্তু আল্লাহ সহজ করে দিয়েছেন। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন ভবিষ্যতে বড় একজন আলেম হতে পারি এবং ইসলামের আদর্শ মনে-প্রাণে ধারণ করতে পারি।”

শিশুপুত্রের এমন অর্জনে আবেগাপ্লুত শিহাবের বাবা সাংবাদিক মো: শহীদুল ইসলাম বলেন, “কোরআনের হাফেজ হয়ে শিহাব আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। আমি মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা এবং বিশেষ করে শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার ছেলের মঙ্গলের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যেন আমার ছেলেকে ইসলামের জন্য কবুল করেন।”

শিহাবের মা, শিক্ষিকা মোসা: মাহমুদা আক্তারও সন্তানের এমন কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, “আমার ছেলে শিহাব মাহমুদ মাত্র ১১ মাসে হিফজ শেষ করেছে, এ জন্য আমরা খুব আনন্দিত। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।”

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মাদরাসায় আয়োজিত হাফেজদের পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠানে হেফজ বিভাগের প্রধান শিক্ষক হাফেজ মো: আব্দুল কাদের বলেন, “মাত্র নয় মাস নাজেরা পড়ার পর হেফজ শুরু করে শিহাব। এরপর মাত্র ১১ মাসে পুরো কোরআন হিফজ সম্পন্ন করে সে। আমি আশা করি, আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শিহাব আমাদের মাদরাসা, পরিবার, দেশ ও জাতির জন্য গর্ব বয়ে আনবে।”

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো: নুরুল আমিন আলম বলেন, “হাফেজ শিহাব মাহমুদের মাধ্যমে আমাদের মাদরাসার নাম উজ্জ্বল হয়েছে। আমরা দোয়া করি যেন এমন আরো অনেক শিক্ষার্থী হাফেজ হতে পারে। আল্লাহ যেন সবাইকে কবুল করেন।”

নয়ন

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত