ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২

শিশুদের লালন-পালনের সঠিক পদ্ধতি: অভিভাবকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

সরকার ফারাবী
সরকার ফারাবী

সিনিয়র রিপোর্টার

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ১৬:০৯:০৭

শিশুদের লালন-পালনের সঠিক পদ্ধতি: অভিভাবকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিশুদের সুষ্ঠু লালন-পালন তাদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিটি শিশুর বিকাশের জন্য সঠিক পথনির্দেশনা এবং স্নেহময় পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শিশু লালনের প্রথম মূলনীতি হলো ভালবাসা ও নিরাপত্তা প্রদান। শিশুরা যত বেশি নিরাপদ এবং স্নেহময় পরিবেশে বেড়ে ওঠে, তাদের মানসিক স্থিতিশীলতা এবং আত্মবিশ্বাসও তত বেশি গড়ে ওঠে।

দ্বিতীয়ত, নিয়মিত খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করা অপরিহার্য। শিশুদের জন্য সুষম আহার যেমন প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ খাবার গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের শারীরিক বৃদ্ধি, মস্তিষ্কের বিকাশ এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

তৃতীয়ত, শিশুদের নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ ও খেলাধুলা করা উচিত। খেলাধুলা কেবল শারীরিক শক্তি বাড়ায় না, বরং সামাজিক দক্ষতা, দলগত কাজের অভ্যাস এবং মানসিক সুস্থতাও উন্নত করে।

চতুর্থত, শিশুর মানসিক ও নৈতিক বিকাশে গল্প, ধ্যান, শিল্পকলা এবং সৃজনশীল কার্যকলাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে শিশুর মননশীলতা এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়।

পঞ্চম ও সর্বশেষ মূলনীতি হলো শিশুর সঙ্গে সৎ ও ধৈর্যশীল যোগাযোগ রাখা। শিশুদের ভুলের সময় দ্রুত দোষারোপ না করে, ধৈর্য এবং বোঝাপড়ার মাধ্যমে তাদের শেখানো উচিত। এতে শিশুদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস, দায়িত্ববোধ এবং সামাজিক দক্ষতা গড়ে ওঠে।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, শিশুদের লালন-পালনে প্রযুক্তির ব্যবহার সীমিত রাখা জরুরি। দীর্ঘ সময় ফোন বা ট্যাবলেট ব্যবহারে শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। অভিভাবকদের উচিত শিশুদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সময় কাটানো, যাতে তারা নিরাপদ ও সৃজনশীল পরিবেশে বড় হতে পারে।

শিশুদের সঠিক লালন-পালন শুধু তাদের ব্যক্তিগত বিকাশে সহায়ক নয়, বরং আগামী প্রজন্মকে দায়িত্বশীল ও সৃজনশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত