ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২
হাসিনা শাসনের কালো অধ্যায় নিয়ে ট্রাইব্যুনালে নাহিদ
.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিতে উপস্থিত হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত থাকলেও মামলার ৪৬তম সাক্ষী মাহমুদুর রহমানের জেরা চলমান থাকায় নাহিদের সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, জেরা শেষ হলে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তার সাক্ষ্যগ্রহণ হতে পারে।
এই মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য দিয়েছেন। সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা ধরে তিনি তার সাক্ষ্যে সাবেক সরকারকে একটি পরিকল্পিত ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা হিসেবে চিত্রায়িত করেন। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে তার সাক্ষ্যের ভিত্তিতে জেরা পর্ব শুরু হয়, যা পরিচালনা করছেন শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।
মাহমুদুর রহমান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে একটি প্রভাবিত নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণে ব্যবহার করা হয়। তিনি উল্লেখ করেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের ঘটনা, বিচার বিভাগ দলীয়করণ, নির্বাচন কমিশন নিয়ন্ত্রণ, ঘুম খুনের সংস্কৃতি ও জঙ্গি নাটকের মতো একাধিক ঘটনার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় দমননীতি প্রতিষ্ঠা পায়।
তার সাক্ষ্যে বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার বেশ কিছু সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার নাম উঠে আসে—যারা মাহমুদুর রহমানের দাবি অনুযায়ী, শাসকগোষ্ঠীর ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েমে ভূমিকা রেখেছেন।তিনি বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড এবং ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ওই দমনমূলক শাসনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। তার মতে, এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই দেশের জনগণ একটি ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান ঘটাতে সক্ষম হয়।
মাহমুদুর রহমানের এ বিস্তৃত ও গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্যকে কেন্দ্র করে মামলাটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। নাহিদ ইসলামসহ আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর মামলার যুক্তিতর্ক (argument) পর্ব শুরু হবে বলে জানিয়েছে ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
নয়ন
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- শেয়ার কারসাজিতে শ্যালক–দুলাভাইর দেড় কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রসারিত হচ্ছে টেকসই বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত