ঢাকা, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২
বর্তমান বিশ্ব বাজারে শীর্ষ ১০ মোবাইল ব্র্যান্ড

ত্তমথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক: বিশ্ব মোবাইল ফোনের বাজারে ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে। সেরা ডিজাইন, আধুনিক প্রযুক্তি এবং গ্রাহকদের আস্থার ওপর ভিত্তি করে কয়েকটি ব্র্যান্ড শীর্ষস্থানে নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে। আসুন, বর্তমান সময়ের শীর্ষ ১০ মোবাইল ব্র্যান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
১. স্যামসাং (দক্ষিণ কোরিয়া)১৯৩৮ সালে যাত্রা শুরু করা স্যামসাং বিশ্বের এক নম্বর মোবাইল ব্র্যান্ড। দক্ষিণ কোরিয়ার এই কোম্পানি ৮০টি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং বৈশ্বিক বাজারে এর অংশীদারিত্ব ১৯.৭ শতাংশ। ভিয়েতনাম, ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়াতেও তাদের কারখানা রয়েছে। প্রায় ২ লাখ ৬৬ হাজার কর্মী নিয়ে স্যামসাং তার আকর্ষণীয় নকশা ও বৈচিত্র্যময় ফ্ল্যাগশিপ ফোনের মাধ্যমে একনিষ্ঠ গ্রাহকশ্রেণি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে তারা ৫ কোটি ৮০ লাখ ফোন সরবরাহ করেছে, যা বছরের শেষে ৩০ কোটিতে পৌঁছাতে পারে এবং সম্ভাব্য আয় দাঁড়াবে ২১ হাজার ৩৩০ কোটি ডলার।
২. অ্যাপল (যুক্তরাষ্ট্র)১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত মার্কিন ব্র্যান্ড অ্যাপল বিশ্ববাজারে ১৫.৭ শতাংশ অংশীদারিত্ব ধরে রেখেছে। নিরাপত্তা, গোপনীয়তা ও তথ্য সুরক্ষার জন্য অ্যাপল ভোক্তাদের কাছে অদ্বিতীয়। ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় এই ব্র্যান্ডের চাহিদা সর্বাধিক। ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৪ কোটি ৬৪ লাখ আইফোন বাজারে এসেছে, যা বছরের শেষে ২২ কোটি ৫০ লাখে পৌঁছাতে পারে। সম্ভাব্য আয় ২১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।
৩. শাওমি (চীন)২০১০ সালে যাত্রা করা শাওমি চীনা বাজার ছাড়াও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্যাপক জনপ্রিয়। তুলনামূলক কম দামে স্টাইলিশ ও দ্রুত চার্জের সুবিধাসম্পন্ন ফোনের জন্য ব্র্যান্ডটির বাজার অংশীদারিত্ব ১৪.৪ শতাংশ। ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৪ কোটি ২৬ লাখ ফোন সরবরাহ করেছে শাওমি, যা বছরের শেষে ১৫ কোটি ৫০ লাখে পৌঁছাতে পারে এবং সম্ভাব্য আয় ৩ হাজার ৩৭৫ কোটি ডলার।
৪. ভিভো (চীন)২০০৯ সালে আত্মপ্রকাশ করা ভিভোর বাজার অংশীদারিত্ব ৯.২ শতাংশ। উন্নত ক্যামেরা প্রযুক্তি ও আধুনিক নকশার কারণে তরুণ ও কনটেন্ট নির্মাতাদের মধ্যে এই কোম্পানিটির মোবাইল বেশ জনপ্রিয়। ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২ কোটি ৭২ লাখ ফোন বাজারে এসেছে, যা বছরের শেষে ৬ কোটি ৫০ লাখে দাঁড়াতে পারে। সম্ভাব্য আয় প্রায় ৬৭৫ কোটি ডলার।
৫. অপো (চীন)স্টাইলিশ নকশা ও উন্নত ক্যামেরার জন্য খ্যাত অপো বর্তমানে বৈশ্বিক বাজারে ৮.৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব ধরে রেখেছে। দ্রুত চার্জ হওয়ার সুবিধায় ব্যস্ত কর্মজীবীদের কাছেও এটি জনপ্রিয়। ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২ কোটি ৫১ লাখ ফোন বাজারে এসেছে, যা বছরের শেষে ৫ কোটি ৫০ লাখ ছাড়াতে পারে। সম্ভাব্য আয় ৬০০ কোটি ডলারের বেশি।
৬. ওয়ানপ্লাস (চীন)২০১৩ সালে যাত্রা করা ওয়ানপ্লাস মূলত প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য। মাঝারি দামে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ফ্ল্যাগশিপ অভিজ্ঞতা পাওয়া যায় এ ফোনে। বাজারে তাদের অংশীদারিত্ব প্রায় ৩ শতাংশ। ২০২৪ সালে ৮০ লাখ ফোন বাজারে এসেছে, যা ২০২৫ সালে ১ কোটিতে পৌঁছাতে পারে এবং আয় হবে ২৭০ কোটি ডলার।
৭. রিয়েলমি (চীন)২০১৮ সালে শুরু হওয়া রিয়েলমি মূলত তরুণ গেমারদের লক্ষ্য করে তৈরি। আকর্ষণীয় নকশা ও সাশ্রয়ী দাম এটিকে জনপ্রিয় করেছে। ২০২৪ সালে বাজারে এসেছে ১ কোটি ৪০ লাখ ফোন, যা ২০২৫ সালে ১ কোটি ৫০ লাখে বাড়তে পারে। আয় হবে ২০০ কোটি ডলারের বেশি।
৮. মটোরোলা (যুক্তরাষ্ট্র)১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মার্কিন ব্র্যান্ড মটোরোলা এখনো বৈশ্বিক বাজারে ৪ শতাংশ শেয়ার ধরে রেখেছে। ভাঁজ করা যায় এমন ফোন ও সঠিক দামের অ্যান্ড্রয়েড অভিজ্ঞতার কারণে গ্রাহকেরা এটি পছন্দ করেন। ২০২৪ সালে ১ কোটি ফোন সরবরাহ করেছে, যা ২০২৫ সালে ১ কোটি ২০ লাখ ছাড়াতে পারে। আয় হবে ১৫০ কোটি ডলারের বেশি।
৯. গুগল (যুক্তরাষ্ট্র)গুগলের পিক্সেল সিরিজ বাজারে প্রায় ২ শতাংশ শেয়ার দখল করে আছে। উন্নত ক্যামেরা, সহজ অ্যান্ড্রয়েড অভিজ্ঞতা এবং এআই-ভিত্তিক অ্যাপস ব্যবহারের সুবিধা এটিকে আলাদা করেছে। ২০২৪ সালে ৬০ লাখ ফোন সরবরাহ করেছে, যা ২০২৫ সালে ৮০ লাখে পৌঁছাতে পারে। আয় হতে পারে ১২৭ কোটি ডলার।
১০. অনার (চীন)২০১৩ সালে হুয়াওয়ের সাব-ব্র্যান্ড হিসেবে যাত্রা শুরু করা অনার এখন স্বাধীন কোম্পানি। সাশ্রয়ী দামে আধুনিক সব সুবিধা দেওয়ার কারণে বাজারে এর অংশীদারিত্ব প্রায় ৩ শতাংশ। ২০২৪ সালে ৭০ লাখ ফোন বাজারে এসেছে, যা ২০২৫ সালে এই সংখ্যা ৯০ লাখ ছাড়াতে পারে এবং সম্ভাব্য আয় হতে পারে ১০০ কোটি ডলারের বেশি।
সামগ্রিকভাবে দেখা যায়, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ব্র্যান্ডগুলিই বিশ্ব মোবাইল বাজারে শীর্ষস্থানে আধিপত্য বজায় রেখেছে। প্রতিটি ব্র্যান্ডই নিজস্ব উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও লক্ষ্যভিত্তিক গ্রাহকগোষ্ঠীর ওপর নির্ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে।
এসপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- শেয়ারবাজারে প্রসারিত হচ্ছে টেকসই বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর
- মিরাকেলের বিরুদ্ধে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপন করার অভিযোগ
- বড় পতনের মধ্যেও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের নতুন ঢেউ