ঢাকা, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২

আবু সাঈদ হ'ত্যা মামলা: ৫ সাক্ষীর সাক্ষ্য-জেরা সম্পন্ন

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৫ ০০:০৪:১৭

আবু সাঈদ হ'ত্যা মামলা: ৫ সাক্ষীর সাক্ষ্য-জেরা সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে পঞ্চম দিনের মতো সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই দিন ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

আজ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার লাইব্রেরিয়ান আনিসুর রহমানকে স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন। দিনভর জেরা শেষে নতুন দিন নির্ধারণ করা হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর মঈনুল করিম।

এর আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর আনিসুর রহমান পঞ্চম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। একই দিনে এসআই মো. তরিকুল ইসলামও জবানবন্দি দেন, যার জেরা সেদিন শেষ হলেও আনিসুরের জেরা আজ সম্পন্ন হলো। ৮ সেপ্টেম্বর রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজিবুল ইসলামের জেরা শেষ হয়, যিনি ৭ সেপ্টেম্বর জবানবন্দি দিয়েছিলেন। ওই দিন দ্বিতীয় সাক্ষী রংপুরে কর্মরত এনটিভির সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট একেএম মঈনুল হককেও জেরা করা হয়।

গত ২৮ আগস্ট জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেনের জবানবন্দির মধ্য দিয়ে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

আজ সকালেও এই মামলার ছয় আসামিকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তারা হলেন এএসআই আমির হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ।

গত ২৭ আগস্ট সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ফর্মাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তবে, এ মামলায় বেরোবির সাবেক ভিসিসহ ২৪ জন এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের পক্ষে গত ২২ জুলাই সরকারি খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।

গত ৩০ জুলাই পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত চার আইনজীবী শুনানি করেন। এর মধ্যে পাঁচজনের হয়ে লড়েন আইনজীবী সুজাত মিয়া, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মামুনুর রশীদ এবং আইনজীবী ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলামও শুনানি করেন। ২৯ জুলাই তিন আসামির পক্ষে শুনানি হয়, যার মধ্যে শরিফুলের হয়ে লড়ছেন আইনজীবী আমিনুল গণি টিটো, কনস্টেবল সুজনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু এবং ইমরানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাহউদ্দিন রিগ্যান।

২৮ জুলাই এ মামলার ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ওপর প্রসিকিউশনের শুনানি শেষ হয়। ৩০ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। ২৪ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। এই মামলায় মোট সাক্ষী ৬২ জন।

এসপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত

২৮ বছর পর শাবিপ্রবিতে শাকসু নির্বাচন নভেম্বরে

২৮ বছর পর শাবিপ্রবিতে শাকসু নির্বাচন নভেম্বরে

নিজস্ব প্রতিবেদক: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) দীর্ঘ প্রতীক্ষিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচন আগামী নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত... বিস্তারিত