ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২

ফ্ল্যাট বরাদ্দে অনিয়ম

দুদকের সাবেক দুই কমিশনারসহ ১২ কর্মকর্তাকে তলব

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১১ ১৮:৩৭:১৯

দুদকের সাবেক দুই কমিশনারসহ ১২ কর্মকর্তাকে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার ধানমন্ডিতে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বরাদ্দের ঘটনায় নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগে দুদক সাবেক দুই কমিশনারসহ সচিব পদমর্যাদার ১২ জন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে।

দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ অনুসন্ধান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই জিজ্ঞাসাবাদ নেওয়া হচ্ছে।

দুদকের সাবেক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান, সাবেক কমিশনার জহরুল হক, সাবেক সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, সাবেক সচিব এম এ কাদেরকে ১৭ সেপ্টেম্বর তলব করা হয়েছে।

আইডিআরএর সাবেক চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম, সাবেক সচিব আকতারী মমতাজ, সাবেক সচিব মো. সিরাজুল হক খানকে ১৮ সেপ্টেম্বর তলব করা হবে।

সাবেক রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, সাবেক সচিব মো. আনিছুর রহমান ও সাবেক সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুককে ২১ সেপ্টেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ‘গৃহায়ন ধানমন্ডি (প্রথম পর্যায়)’ প্রকল্পের আওতায় উচ্চমূল্যের ফ্ল্যাট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

প্রকল্প অনুযায়ী, ধানমন্ডির ১৩ নম্বর (নতুন ৬/এ) সড়কের ৬৩ নম্বর প্লটে নির্মিত ১৪ তলা ভবনের ১৮টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ৬০ শতাংশ (১২টি) সরকারি ও ৪০ শতাংশ (৬টি) বেসরকারি কোটায় বরাদ্দযোগ্য ছিল।

অভিযোগ রয়েছে, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সচিব পদমর্যাদার এ ১২ কর্মকর্তাকে ‘পুরস্কারস্বরূপ’ ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া হয়।

গত ৫ মে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল এই বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সম্প্রচার করে। এরপর ১২ মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুদক অনিয়মের সম্ভাব্যতা পায়।

প্রকল্পের ধানমন্ডি-৬, ৬৩ নম্বর প্লট মূলত সরকারি খাস জমি, যার বাজারমূল্য অত্যন্ত উচ্চ। অভিযোগ রয়েছে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জমিটি জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করে সেখানে ১৪ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়।

ভবনটিতে দুটি ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট এবং নিচতলা ও দুই তলা গাড়ি পার্কিং রয়েছে। ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট দু’টি বরাদ্দ পান দুদকের সাবেক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান ও জহরুল হক। বাকি ১০টি ফ্ল্যাট বরাদ্দ হয় অন্যান্য সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নামে। জুলাই মাসের শুরুতে দুদক এই অনুসন্ধান শুরু করে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত