ঢাকা, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২

হাটহাজারীতে সংঘর্ষের পর থানার ওসি প্রত্যাহার

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৮ ১০:০৮:৩২

হাটহাজারীতে সংঘর্ষের পর থানার ওসি প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্টকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় থানার দায়িত্বে পরিবর্তন এসেছে। হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কাওসার মাহমুদকে প্রত্যাহার করে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাক আহম্মেদকে।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী তারেক আজিজ।

এর আগে একই দিন বিকেলে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী বড় মাদরাসার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ওসির নীরব ভূমিকার অভিযোগ তুলে তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। এ দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা রাতে বিক্ষোভও করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে হাটহাজারী মাদরাসার সামনে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন আরিয়ান ইব্রাহিম নামে এক যুবক। এতে কওমি মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সন্ধ্যায় ফটিকছড়ি থানা পুলিশ তাকে পৌর সদর থেকে আটক করে। তিনি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুহাম্মদ মুছার ছেলে। আটক হওয়ার পর আরিয়ান ভিডিও বার্তায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান।

এই ঘটনার জেরে শনিবার বিকেল থেকেই হাটহাজারী পৌর এলাকায় বিক্ষোভে নামে মাদরাসার শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। পৌরসভার গোল চত্বরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলাকালে তাদের সঙ্গে সুন্নি মতাদর্শের অনুসারীদের সংঘর্ষ বাঁধে। সহিংসতায় শতাধিক মানুষ আহত হন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাতেই উপজেলা প্রশাসন হাটহাজারীতে ১৪৪ ধারা জারি করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিনের স্বাক্ষরে রাত ১০টা থেকে পরদিন বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকে।

সংঘর্ষের পরদিন রোববার প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মাদরাসা ও সুন্নি পক্ষের ১০ জন করে প্রতিনিধি বৈঠকে অংশ নেন। এতে আহতদের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেয় উপজেলা প্রশাসন।

এমজে

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত