ঢাকা, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২
দিল্লিতে বাংলাদেশবিরোধী আন্তর্জাতিক সেমিনার, প্রচারণা চালাচ্ছে ভারত
নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে এক আন্তর্জাতিক সেমিনার, যার মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের ওপর চাপ বৃদ্ধি এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা। রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সেমিনারটি ভারতীয় পক্ষের বাংলাদেশবিরোধী প্রোপাগান্ডার প্রকাশ্য রূপ, যা দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে পতিত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ দিতে পারে।
সেমিনারের শিরোনাম ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক: নতুন ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব’। এটি আয়োজন করেছে দিল্লিভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাংক গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডিফেন্স নিউজ। অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন থিঙ্ক ট্যাংকের বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা ছাড়াও চারজন বাংলাদেশি রিসোর্স পারসন অংশ নিচ্ছেন।
বাংলাদেশি রিসোর্স পারসনদের মধ্যে রয়েছেন—সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান, লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. আবুল হাসনাত মিল্টন, জুলাই বিপ্লবের পর মরক্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদ, এবং আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। তারা সবাই বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সুবিধাভোগী ও ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যুক্ত হিসেবে পরিচিত।
দিল্লির কূটনৈতিক সূত্র জানাচ্ছে, এই চারজন বাংলাদেশি ‘ডিপ স্টেট’-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ। সেমিনারে তারা মৌলবাদের উত্থান, সংখ্যালঘু নির্যাতন, ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা করবেন। ভারতের উদ্দেশ্য স্পষ্ট—বাংলাদেশবিরোধী বয়ান ছড়িয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল মনোরাজ সিং মান, বিশেষ আলোচক হিসেবে থাকবেন মেজর জেনারেল (অব.) সুধাকর জী। অন্যান্য ভারতীয় রিসোর্স পারসনরা বাংলাদেশ ও আঞ্চলিক বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনায় অংশ নেবেন।
বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এম শহীদুজ্জামান মন্তব্য করেছেন, “এ সেমিনারকে আন্তর্জাতিক সম্মেলন বলা ঠিক হবে না। এটি স্পষ্টভাবে বাংলাদেশবিরোধী প্রোপাগান্ডা। ভারত এখন আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে এবং তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।”
অন্যদিকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, “ভারত এই সেমিনারের মাধ্যমে যেসব মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে, তার উদ্দেশ্য হলো পতিত আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনা। বাংলাদেশে ভারতপন্থি লোকদের ব্যবহার করে তারা দেশের স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে চায়। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জুলাই বিপ্লবের পক্ষের সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে দৃঢ় ঐক্য থাকা জরুরি।”
এমজে
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- নতুন মার্জিন নীতিতে কারা সুবিধা পাবেন, কারা হারাবেন?
- শেয়ারবাজারই হতে পারে ওষুধ শিল্পের নতুন প্রাণশক্তি: ডিএসই চেয়ারম্যান
- শেয়ারবাজারে নতুন মার্জিন বিধিমালা জারি করল বিএসইসি
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: কবে, কখন, কোথায়-যেভবে দেখবেন সরাসরি(LIVE)
- নিউজিল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি দেখুন(LIVE)
- নিয়ন্ত্রক সংস্থার টানাপোড়েনে বিপর্যস্ত ব্যাংক ও শেয়ারবাজার
- বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের ৬ কোম্পানির শেয়ারে ঝলক
- পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্তা
- ‘নো ডিভিডেন্ড’- এর বদনাম ঘুচাল বস্ত্র খাতের তিন কোম্পানি
- পাঁচ ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা কী পাবেন? জানালেন গভর্নর
- সাপোর্টের রেকর্ড মুনাফা, ১৫ বছরে সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৯ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- হরলিকসের জোয়ারে ইউনিলিভারের মুনাফায় দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন
- ব্রাজিল বনাম হন্ডুরাস: ৭ গোলে শেষ হলো ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- বিএনপির মনোনয়নে শেয়ারবাজারে ঝড় তুলেছে তিন কোম্পানি