ঢাকা, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২
দিল্লিতে বাংলাদেশবিরোধী আন্তর্জাতিক সেমিনার, প্রচারণা চালাচ্ছে ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে এক আন্তর্জাতিক সেমিনার, যার মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের ওপর চাপ বৃদ্ধি এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা। রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সেমিনারটি ভারতীয় পক্ষের বাংলাদেশবিরোধী প্রোপাগান্ডার প্রকাশ্য রূপ, যা দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে পতিত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ দিতে পারে।
সেমিনারের শিরোনাম ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক: নতুন ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব’। এটি আয়োজন করেছে দিল্লিভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাংক গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডিফেন্স নিউজ। অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন থিঙ্ক ট্যাংকের বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা ছাড়াও চারজন বাংলাদেশি রিসোর্স পারসন অংশ নিচ্ছেন।
বাংলাদেশি রিসোর্স পারসনদের মধ্যে রয়েছেন—সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান, লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. আবুল হাসনাত মিল্টন, জুলাই বিপ্লবের পর মরক্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদ, এবং আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। তারা সবাই বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সুবিধাভোগী ও ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যুক্ত হিসেবে পরিচিত।
দিল্লির কূটনৈতিক সূত্র জানাচ্ছে, এই চারজন বাংলাদেশি ‘ডিপ স্টেট’-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ। সেমিনারে তারা মৌলবাদের উত্থান, সংখ্যালঘু নির্যাতন, ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা করবেন। ভারতের উদ্দেশ্য স্পষ্ট—বাংলাদেশবিরোধী বয়ান ছড়িয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল মনোরাজ সিং মান, বিশেষ আলোচক হিসেবে থাকবেন মেজর জেনারেল (অব.) সুধাকর জী। অন্যান্য ভারতীয় রিসোর্স পারসনরা বাংলাদেশ ও আঞ্চলিক বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনায় অংশ নেবেন।
বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এম শহীদুজ্জামান মন্তব্য করেছেন, “এ সেমিনারকে আন্তর্জাতিক সম্মেলন বলা ঠিক হবে না। এটি স্পষ্টভাবে বাংলাদেশবিরোধী প্রোপাগান্ডা। ভারত এখন আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে এবং তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।”
অন্যদিকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, “ভারত এই সেমিনারের মাধ্যমে যেসব মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে, তার উদ্দেশ্য হলো পতিত আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনা। বাংলাদেশে ভারতপন্থি লোকদের ব্যবহার করে তারা দেশের স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে চায়। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জুলাই বিপ্লবের পক্ষের সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে দৃঢ় ঐক্য থাকা জরুরি।”
এমজে
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত সাম্প্রতিক ম্যাচের পরিসংখ্যান
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- শেয়ারবাজারে দ্রুত মুনাফা তোলার ৫টি ট্রেডিং টিপস
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার