ঢাকা, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২

পশ্চিমা বাহিনী ইউক্রেনে এলে হামলার হুমকি পুতিনের

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৫ ২৩:০৪:৫১

পশ্চিমা বাহিনী ইউক্রেনে এলে হামলার হুমকি পুতিনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনা মোতায়েন হলে সেটি সরাসরি রাশিয়ার আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে অনুষ্ঠিত এক অর্থনৈতিক ফোরামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, চলমান সংঘাতের সময় বিদেশি সেনাদের উপস্থিতি রাশিয়ার কাছে বৈধ সামরিক লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।

এর একদিন আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ঘোষণা দেন, ইতোমধ্যে ২৬টি দেশ ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে সম্মত হয়েছে। তাঁর ভাষায়, এই সহায়তা আকাশ, সমুদ্র ও স্থলভাগ—সবখানেই কার্যকর হবে।

পুতিন অবশ্য ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি রাশিয়া ও কিয়েভের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বা দীর্ঘমেয়াদি শান্তি চুক্তি হয়, তবে বাইরের কোনো সামরিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজন পড়বে না। তিনি বলেন, “স্থায়ী শান্তির জন্য যে কোনো সমঝোতা হলে রাশিয়া সেটি পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করবে।”

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভও একই সুরে জানান, যুদ্ধ-পরবর্তী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা শুধু ইউক্রেনের জন্য নয়, রাশিয়ার জন্যও থাকা জরুরি। তাঁর মতে, ন্যাটোর সম্প্রসারণ এবং ইউক্রেনকে জোটে টানাই মূলত এ সংঘাতের অন্যতম কারণ।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিনের এই সতর্কবার্তা রাশিয়ার সাম্প্রতিক হুমকিরই ধারাবাহিকতা। এর আগে রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, পশ্চিমাদের চাপ বাড়তে থাকায় মস্কো পারমাণবিক নীতিতেও পরিবর্তন আনতে পারে।

এ সপ্তাহেই চীন ও উত্তর কোরিয়ার নেতাদের সঙ্গে যৌথ উপস্থিতি দেখিয়ে পশ্চিমাদের বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করার বার্তা দেন পুতিন। এমনকি তিনি দাবি করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

পুতিন বলেন, “যদি জেলেনস্কি আলোচনায় রাজি হন, তিনি মস্কোতে আসতে পারেন। আমরা শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেব।” তবে কিয়েভ এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, রাশিয়া প্রকৃত আলোচনায় আগ্রহী নয়, বরং সময়ক্ষেপণের কৌশল নিচ্ছে। ইতিমধ্যে অন্তত সাতটি দেশ ইউক্রেন-রাশিয়া বৈঠকের আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

অন্যদিকে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চললেও রাশিয়ার হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের উত্তরে এক মাইন অপসারণ কেন্দ্রে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুজন মানবাধিকারকর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ড্যানিশ রিফিউজি কাউন্সিল।

এসপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত