ঢাকা, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২

বিশ্ব দাতব্য দিবস: মানবিক মনই বড় দান

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৫ ১৩:২৯:০১

বিশ্ব দাতব্য দিবস: মানবিক মনই বড় দান

নিজস্ব প্রতিবেদক: মানুষের অন্তর কখনো বড় হয়ে ওঠে অন্যের দুঃখ কাঁপিয়ে দেখার মাধ্যমে। কেউ ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে খাবার পৌঁছে দিতে পারে, বিপদের সময় পাশে দাঁড়াতে পারে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন একটি মানবিক মন, যা অর্থের অভাবকে বাধা হিসেবে দেখেনা। সময়, শ্রম, মেধা এবং মননের মাধ্যমে মানুষ অন্যের জন্য উপকার করতে পারে।

আজ (৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব দাতব্য দিবস। প্রতিবছর এই দিনে বিশ্বের নানা দেশে আয়োজন করা হয়, যার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে দাতব্য সংস্থাগুলো কাজ করে। নিয়মিত দান ও স্বেচ্ছাসেবার অভ্যাস মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। অনেক তারকা, শিল্পপতি ও সাধারণ মানুষই দাতব্য কাজে যুক্ত থাকেন, যা তাদের জন্য মানসিক শান্তি এবং সমাজের জন্য বৃহৎ উপকার বয়ে আনে।

দাতব্য কাজের উপকারিতা

দাতব্য কাজ মানুষের জীবনে নানা দিক থেকে উপকার বয়ে আনে। এটি কেবল অন্যকে সাহায্য করার মাধ্যম নয়, বরং নিজের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতাকেও উন্নত করে। নিয়মিত দান করলে নিম্নরক্তচাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা কমে। ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখিয়েছেন, যারা নিয়মিত দান ও স্বেচ্ছাসেবায় যুক্ত থাকে, তাদের মধ্যে আনন্দ, সন্তুষ্টি, আত্মনির্ভরতা এবং শারীরিক সুস্থতা বেশি থাকে।

দানের ৭ প্রধান উপকার

১. মানসিক প্রশান্তি: দান বা সাহায্য করার সময় মস্তিষ্কে সেরোটোনিন, ডোপামিন ও অক্সিটোসিন নিঃসৃত হয়, যা তৎক্ষণাৎ আনন্দ এবং মানসিক সুস্থতা বৃদ্ধি করে।

২. চাপমুক্তি ও স্বাস্থ্য উন্নতি: দান কর্টিসল হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, চাপ ও উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং আয়ু বৃদ্ধি করতে সহায়ক।

৩. দীর্ঘজীবন ও মৃত্যুহার হ্রাস: স্বেচ্ছাসেবায় নিয়মিত যুক্ত থাকার ফলে মানুষ দীর্ঘায়ু লাভ করে এবং আকস্মিক মৃত্যুর ঝুঁকি কমে।

৪. অবসাদ ও মানসিক স্থিতিশীলতা: দান ও স্বেচ্ছাসেবা উদ্বেগ ও অবসাদ কমায়, মানসিক প্রগাঢ়তা এবং জীবনসন্তুষ্টি বৃদ্ধি করে।

৫. সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করা: গণমানুষের জন্য কাজ সামাজিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করে এবং সমাজে সংহতি তৈরি করে। এই ধরনের কাজ সিভিতে উল্লেখ করলে চাকরির বাজারেও সমাদর বৃদ্ধি পায়।

৬. আত্মসম্মান বৃদ্ধি: অন্যের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করলে আত্মসম্মান ও জীবনবোধের উন্নতি ঘটে।

৭. আধ্যাত্মিক উন্নতি: ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে দান নিঃস্বার্থ সেবা হিসেবে গণ্য হয়। এটি হৃদয়কে নির্মল করে, অভিমান ও লোভ দূর করে এবং আধ্যাত্মিক গভীরতা বৃদ্ধি করে।

এমজে

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত