ঢাকা, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২
স্বাস্থ্য সংকট কাটিয়ে রাজনৈতিক মঞ্চে জামায়াতের শীর্ষ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক :দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় অসুস্থ থাকার পর আজ (শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর) জনসম্মুখে এসে বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। রাজধানীর কাফরুল দক্ষিণ থানার উদ্যোগে আয়োজিত একটি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি নিজের অসুস্থতা, চিকিৎসা এবং পুনরায় সুস্থ হয়ে ওঠার বিষয়ে আবেগময় বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্যের শুরুতেই তিনি মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, "দীর্ঘ একমাসের বেশি সময় পর মিডিয়ার সামনে দাঁড়ানোর সক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। এজন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা আদায় করছি।"
তিনি বলেন, “আল্লাহ তৌফিক না দিলে আমি আজ এখানে এসে কথা বলতে পারতাম না। এই সময়টা আমার মনে হয়েছে জাতিকে কিছু বলার দায়িত্ব আমার। আমার দায়িত্ব অন্য কেউ পালন করার আর সুযোগ নেই। তাই আমি আল্লাহর দরবারে তৌফিক কামনা করেছিলাম—যেন অন্তত সেই কথাগুলো বলতে পারি, যা মানুষের কল্যাণের জন্য জরুরি। আল্লাহ সেই সুযোগ দিয়েছেন।”
নিজের অসুস্থতার কথা তুলে ধরে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “১৯ জুলাই সমাবেশের দিন আমি যখন পড়ে যাই, তখন দেশের মানুষ টিভি স্ক্রিন কিংবা মোবাইলে তা দেখছিলেন। ইউনাইটেড হসপিটালের খ্যাতিমান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মমিনুজ্জামান তখনই আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে এটি হৃদ্রোগজনিত সমস্যা হতে পারে।”
এরপর তাঁর চিকিৎসার জন্য ২২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়, যেখানে তাঁর হৃদ্যন্ত্রে ব্লক শনাক্ত হয়। ঝুঁকির বিষয় বিবেচনা করে চিকিৎসকরা তাঁকে দেশের বাইরে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। তবে তিনি তা গ্রহণ না করে বিশ্বাস রেখেছেন জন্মভূমিতেই আরোগ্য লাভের সম্ভাবনায়।
তিনি বলেন, “চিকিৎসকরা বলেছিলেন সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক কিংবা আমেরিকায় যেতে। আমি তখন জিজ্ঞেস করেছিলাম—আল্লাহ কি কেবল সেই দেশগুলোতেই আছেন? তারা বললেন, আল্লাহ সর্বত্র আছেন। আমি বললাম, আল্লাহ যদি সেখানে সুস্থ করতে পারেন, তবে বাংলাদেশেও করতে পারেন।”
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “সুস্থতা-অসুস্থতা কার হাতে—এক বাক্যে সবাই স্বীকার করেছেন, আল্লাহর হাতে। তাই আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহই আমাকে আবার জনসম্মুখে দাঁড়ানোর শক্তি দিয়েছেন।”
উল্লেখ্য, ১৯ জুলাই রাজধানীতে একটি সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে যান ডা. শফিকুর রহমান। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিন তাঁর রক্তচাপ, গ্লুকোজ ও হৃদ্যন্ত্রের কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। মস্তিষ্কেও কোনো জটিলতা পাওয়া যায়নি। তবে সতর্কতার জন্য তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
দীর্ঘ দেড় মাস পর ডা. শফিকুর রহমানের এই প্রত্যাবর্তনে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, রাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্যে দলের শীর্ষ নেতার জনসম্মুখে উপস্থিতি কর্মী-সমর্থকদের জন্য একটি সাহস এবং অনুপ্রেরণার বার্তা বহন করে।
নয়ন
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত সাম্প্রতিক ম্যাচের পরিসংখ্যান
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার