ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২
ভারত সরকার কর্তৃক পাসপোর্টবিহীন সংখ্যালঘুদের জন্য নতুন আইন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে বাঁচতে পাসপোর্ট বা অন্যান্য ভ্রমণ নথিপত্র ছাড়াই ভারতে প্রবেশকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের জন্য নতুন নিয়ম চালু করেছে ভারত সরকার।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হওয়া ভারতের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাক্ট-২০২৫ এর আওতায়, এই সংখ্যালঘু সদস্যরা দেশটিতে অতিরিক্ত সময়ের জন্য অবস্থান করতে পারবেন এবং কোনো ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হবেন না বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যে সকল সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যরা পাসপোর্ট বা অন্যান্য ভ্রমণ নথি ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছেন, তারা সেখানে অবস্থানের অনুমতি পাবেন। এমনকি যাদের নথিপত্রের মেয়াদ ভারতে প্রবেশের পর শেষ হয়ে গেছে, তাদের বিরুদ্ধেও সোমবার থেকে কার্যকর হওয়া আইনের আওতায় কোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স (এক্সেম্পশন) আদেশ ২০২৫ অনুযায়ী, নেপাল ও ভুটানের নাগরিকদের পাশাপাশি তিব্বতিদেরও একই ধরনের ছাড় দেওয়া হয়েছে। যারা ১৯৫৯ সাল থেকে ২০০৩ সালের ৩০ মের মধ্যে কাঠমান্ডুতে ভারতীয় দূতাবাস কর্তৃক জারি করা বিশেষ প্রবেশ অনুমতিপত্র নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং সংশ্লিষ্ট বিদেশি নিবন্ধন কর্মকর্তার কাছে নিবন্ধন করেছিলেন, তারাও এই সুবিধার আওতায় আসবেন।
তবে, নেপাল ও ভুটানের নাগরিকরা যদি চীন, ম্যাকাও, হংকং বা পাকিস্তান হয়ে ভারতে প্রবেশ বা প্রস্থান করেন, তাহলে তারা আইনের ২১ নম্বর ধারার সুবিধা পাবেন না। এই ধারা অনুযায়ী, বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়া ভারতে প্রবেশ করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫ লাখ রুপি জরিমানা হতে পারে। ২৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ভারতে থেকে গেলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৩ লাখ রুপি জরিমানা হতে পারে।
আইনে আরও বলা হয়েছে, কোনো দেশের তিন বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালনের জন্য পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভারতে আসা-যাওয়া করলেও তাদের কোনো শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে না। এছাড়া বিদেশি কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসার প্রয়োজন নেই।
দেশটির এই আইন বাস্তবায়নের ক্ষমতা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনের বিধি লঙ্ঘনের জরিমানার পরিমাণও ঘোষণা করেছে। তবে, আইনে অব্যাহতি প্রাপ্তরা ছাড়া বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়া যারা ভারতে প্রবেশ করবেন, তাদের সংশ্লিষ্ট ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসে ৫ লাখ রুপি জরিমানা দিতে হবে। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত অবস্থানের জন্য ধাপে ধাপে জরিমানা দিতে হবে। তিব্বতি, মঙ্গোলিয়ার বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের দীর্ঘমেয়াদি ভিসাধারীদের অতিরিক্ত সময় ধরে অবস্থানের কারণে ৫০ থেকে ৫৫০ রুপি পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে।
জরিমানার নতুন কাঠামো অনুযায়ী:৩০ দিন পর্যন্ত অতিরিক্ত অবস্থানকারীদের ১০ হাজার রুপি।৩১-৯০ দিন পর্যন্ত থাকলে ২০ হাজার রুপি।৯১-১৮০ দিন পর্যন্ত থাকলে ৫০ হাজার রুপি।১৮১ দিন থেকে এক বছরের বেশি থাকলে ১ লাখ রুপি।এক বছরের বেশি হলে প্রতি অতিরিক্ত বছরের জন্য ৫০ হাজার রুপি করে জরিমানা দিতে হবে। তবে সর্বোচ্চ জরিমানার পরিমাণ ৩ লাখ রুপির মধ্যে সীমিত থাকবে।
এসপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণে শেয়ারবাজার, অসহায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে কেডিএস এক্সেসরিজ
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু ফেব্রিক্স
- ঘোষণা দিয়েও শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয়নি ১৭ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে স্কয়ার টেক্সটাইল
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি সরাসরি দেখুন(LIVE)
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে শমরিতা হাসপাতাল
- লাফার্জহোলসিমের অন্তর্বর্তীকালিন ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব, বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান বিএসইসির
- লাফার্জ হোলসিমের উচ্চ মুনাফার 'অ্যাগ্রিগেটস' ব্যবসা
- শেয়ারবাজারের তালিকায় যুক্ত হলো আরও এক বন্ধ কোম্পানি
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস