ঢাকা, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২
এআই দাপট: চাকরি পাচ্ছেন না তরুণ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দ্রুত অগ্রগতি ও আর্থিক মন্দার কারণে প্রযুক্তি খাতে চাকরির সুযোগ দিন দিন কমছে। বিশেষ করে জুনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য পরিস্থিতি হয়ে উঠছে আরও কঠিন। সাম্প্রতিক স্নাতকদের বেকারত্বের হার এখন সারা যুক্তরাষ্ট্রের গড় বেকারত্বের চেয়ে বেশি, যা নতুনদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির ব্লুমফিল্ড কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ও গেম প্রোগ্রামিংয়ে ডিগ্রি পাওয়া আব্রাহাম রুবিও ছোটবেলা থেকেই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। মাইনক্রাফট গেমে মড তৈরি করার শখ থেকে তার কোডিংয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। তবে ডিগ্রি পাওয়ার পর টানা কয়েক মাসে ২০টিরও বেশি চাকরির জন্য আবেদন করেও তিনি কোনো অফার পাননি। রুবিওর মতো এমন বাস্তবতার মুখে পড়েছেন আরও অনেক নতুন স্নাতক।
রুবিও বলেন, “আমি প্রায় প্রতিদিন লিংকডইনে গিয়ে সুযোগ খুঁজি, কিন্তু বেশিরভাগ কোম্পানি থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।” এলমস কলেজের জুলিও রদ্রিগেজও একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তিনি একটি চাকরি পাওয়ার আগে ১৫০টিরও বেশি আবেদন করেছিলেন।
অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের মে মাসের রিপোর্ট বলছে, ২০২২ সালের পর থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ও ম্যাথমেটিক্স বিষয়ে নতুন স্নাতকদের কর্মসংস্থান প্রায় ৮ শতাংশ কমেছে। আর ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব সেন্ট লুইস জানিয়েছে, চাকরি খোঁজার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ইন্ডিড’-এ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট চাকরির বিজ্ঞাপন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত ৭১ শতাংশ কমে গেছে।
প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট সম্প্রতি ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্য অর্জনের পরও তাদের তৃতীয় দফায় ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। সিইও সত্য নাদেলা জানিয়েছেন, বর্তমানে কোম্পানির প্রায় ৩০ শতাংশ কোড এআই দিয়ে লেখা হচ্ছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এআই শুধু কোড লেখার প্রক্রিয়াই পরিবর্তন করছে না, নিয়োগ নীতিতেও প্রভাব ফেলছে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স পরিচালক ম্যাগডালেনা বালাজিনস্কা বলেন, কোম্পানিগুলো এখন বড় এআই প্রজেক্টে বিনিয়োগ করছে, ফলে জুনিয়র লেভেলে নিয়োগ কমছে। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এআই-ভিত্তিক নতুন কোর্স চালু করছে। তবে প্রাথমিক ক্লাসে এআই ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
অন্যদিকে কোডিং বুটক্যাম্পগুলোও নিজেদের প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে। ‘জেনারেল অ্যাসেম্বলি’র সিইও ড্যানিয়েল গ্রাসি জানান, এখন শুধু সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নয়, সিআইও ও এইচআর ম্যানেজারদেরও এআই-দক্ষ করে তোলার উদ্যোগ চলছে।
কর্মসংস্থান বিশেষজ্ঞ কাইল হলম মনে করেন, এআইয়ের উত্থান আগের প্রযুক্তি পরিবর্তনের মতো নয়; এখন কোম্পানিগুলো ছোট দল নিয়েই বড় কাজ সারতে চাইছে। তবে অভিজ্ঞ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ডেভিড বারাজাসের মতে, “এআই সরাসরি ইঞ্জিনিয়ারকে প্রতিস্থাপন করবে না, কিন্তু এআই ব্যবহারকারী ইঞ্জিনিয়ার অবশ্যই অন্যদের প্রতিস্থাপন করতে পারে।”
এমজে
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ৪০ বছরের ইতিহাসে ডিভিডেন্ডে নজির ভাঙল এপেক্স ট্যানারি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণায় রেকর্ড ভাঙ্গল লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স!
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- একদিনে 'এ' ক্যাটাগরিতে ফিরল দুই কোম্পানি
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- মার্জিন ঋণ আতঙ্কে হঠাৎ ধস নামলো শেয়ারবাজারে!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে বিএসআরএম লিমিটেড
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীল রাখতে এক হাজার কোটি টাকা পাচ্ছে আইসিবি
- শেয়ারবাজারে সচেতনতা বাড়াতে এবার যুক্ত হচ্ছে মাঠ প্রশাসন
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৮ কোম্পানি
- ১৪ অক্টোবর: এক নজরে শেয়ারবাজারের ২০ খবর