ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২
টিউলিপের পরিচয় নিয়ে বিতর্ক, উন্মোচিত হলো নতুন তথ্য

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক এখনো বাংলাদেশের নাগরিক—এমন দাবি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী গণমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির আইনজীবী।
যদিও টিউলিপ সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে এ দাবি অস্বীকার করে আসছেন।
দুদকের কৌঁসুলি মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, “টিউলিপ সিদ্দিক প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশি পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েছেন এবং ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন। এ সংক্রান্ত সব নথি দুদকের কাছে আছে এবং সময়মতো আদালতে উপস্থাপন করা হবে।”
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সরকারি একাধিক সংস্থা এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
অন্যদিকে টিউলিপ সিদ্দিক এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে একে রাজনৈতিক হয়রানি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। ২০১৭ সালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, “আপনারা কি আমাকে বাংলাদেশি বলছেন? আমি ব্রিটিশ। আমি বাংলাদেশি নই।” তার আইনজীবী প্রতিষ্ঠান স্টিফেনসন হারউড এর এক মুখপাত্রও দাবি করেছেন, “টিউলিপ সিদ্দিকের কখনো বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট ছিল না। কেউ যদি এমন নথি দেখায়, তা জাল।”
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, নাগরিকত্বের প্রশ্ন বিচারযোগ্যতাকে সরাসরি প্রভাবিত না করলেও বিচার শুরু হওয়ার আগে এমন বিতর্ক আইনি ও রাজনৈতিকভাবে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।
বর্তমানে টিউলিপের বিরুদ্ধে দুদকের মামলাটি আদালতে বিচারাধীন তবে তিনি দেশে নেই। দুদকের অভিযোগ, টিউলিপ সিদ্দিক তার খালা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মা ও ভাইবোনদের সঙ্গে মিলে ঢাকার পূর্বাচল প্রকল্পে বেআইনিভাবে সরকারি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে যোগ্যতা ছাড়াই এ সুবিধা পেয়েছেন।
২০২৪ সালের শেষ দিকে ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হলে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন এবং ভারতে যান। এরপর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক তদন্ত শুরু করে যার আওতায় শেখ হাসিনার পরিবারও আসে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) টিউলিপ সিদ্দিক লিখেছেন, “আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি, কোনো প্রমাণও দেখানো হয়নি। আমার আইনজীবীরাও কোনো উত্তর পাননি। এটি কোনো আইনসম্মত প্রক্রিয়া নয়, এটি প্রহসন ও রাজনৈতিক হয়রানি।”
দুদক জানিয়েছে, তার ঠিকানায় সমন পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত দলও সেখানে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশনও নিশ্চিত করেছে টিউলিপের নাম জাতীয় ভোটার তালিকায় রয়েছে—যদিও এটি নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ নয়।
টিউলিপ সিদ্দিক বারবার নিজের নির্দোষিতা দাবি করলেও নতুন প্রশাসন তার বিরুদ্ধে তদন্তে অনড় রয়েছে। এখন দেখার বিষয় আদালতে কী প্রমাণ উপস্থাপন করা হয় এবং তা আন্তর্জাতিক আইন, কূটনীতি ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় কীভাবে প্রভাব ফেলে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- টানা পতনেও শেয়ারবাজারে পুনরুজ্জীবনের সংকেত
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- চলতি সপ্তাহে ৬ কোম্পানির ডিভিডেন্ড অনুমোদন