ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আমলাদের বিদায়, মন্ত্রীর মর্যাদায় গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে মন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হবে এবং তিনি প্রধান বিচারপতির কাছে শপথ নেবেন—এমন প্রস্তাব রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক অধ্যাদেশ (সংশোধন) ২০২৫-এর খসড়ায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ ১৯৭২-এর পরিবর্তে আসা এ অধ্যাদেশের লক্ষ্য হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন ও জবাবদিহিতা বাড়ানো। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
খসড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড থেকে আমলাদের বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা বর্তমান কাঠামো থেকে একটি বড় পরিবর্তন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সুপারিশ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা বাড়াতে এই খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।
রোববার (১০ আগস্ট) সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত এক আলোচনায় গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, “সরকার ও আমলাতন্ত্রের পক্ষ থেকে বাধা আসতে পারে, কিন্তু আর্থিক খাতের শাসনব্যবস্থা অবশ্যই রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকতে হবে।”
নতুন আইনে গভর্নরের মর্যাদা
বর্তমানে গভর্নরকে সরকার নিয়োগ দেন এবং তার পদমর্যাদা মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নিচে থাকে। খসড়া অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশে ও সংসদের অনুমোদন সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি গভর্নর নিয়োগ দেবেন। নিয়োগের জন্য ‘ফিট অ্যান্ড প্রপার’ মানদণ্ড প্রযোজ্য হবে। দায়িত্ব গ্রহণের আগে গভর্নর ও উপ-গভর্নররা প্রধান বিচারপতির কাছে শপথ নেবেন।
বোর্ডে থাকবেন গভর্নর, গভর্নরের মনোনীত দুই উপ-গভর্নর এবং গভর্নরের প্রস্তাবিত তালিকা থেকে সরকারের নিয়োগ পাওয়া আরও আট পরিচালক। কোনো বর্তমান সরকারি কর্মকর্তা বোর্ডে থাকতে পারবেন না এবং প্রস্তাবিত তালিকার বাইরে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, অর্থ বিভাগ সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ডে আছেন—নতুন খসড়ায় তাদের বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
খসড়ায় বোর্ডকে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও তদারকির ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, যাতে তারা ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে।
এছাড়া মুদ্রানীতি ও বিনিময় হার নীতি সমন্বয়ের জন্য একটি সমন্বয় পরিষদ গঠন হবে, যেখানে সভাপতিত্ব করবেন অর্থমন্ত্রী, সদস্য হবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাণিজ্যমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী ও অর্থ বিভাগের সচিব।
গভর্নর ও উপ-গভর্নরের মেয়াদ হবে ছয় বছর, যা একবার নবায়নযোগ্য। তারা সংসদ সদস্য, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি বা অন্য কোনো সরকারি পদে থাকতে পারবেন না এবং অন্য কোনো সরকারি বেতনের পদ গ্রহণ করতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশে ও সংসদের অনুমোদনে রাষ্ট্রপতি তাদের অপসারণ করতে পারবেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি(LIVE) দেখুন
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি ফ্রিতে সরাসরি(LIVE) দেখুন
- ডিএসই’র দুই ব্রোকারেজের ট্রেডিং লাইসেন্স বাতিল
- আজ বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় টি-টোয়েন্টি: যেভাবে দেখবেন লাইভ (LIVE)
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ১৯ কোম্পানি, দেখুন এক নজরে
- আজ বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ: কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন সরাসরি(LIVE)
- বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় টি-২০: কবে, কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন খেলাটি
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া:কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন লাইভ
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি সরাসরি ফ্রিতে দেখুন(LIVE)
- মার্জিন রুল থেকে মিউচুয়াল ফান্ড—সবখানেই আসছে বড় পরিবর্তন
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে অগ্নী সিস্টেমস
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে সিমটেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজ
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তালিকাভুক্ত২৪ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে জেএমআই হসপিটাল
- নেগেটিভ ইকুইটি মুক্ত করতে মার্জিন ঋণে তালা মারছে বিএসইসি